
ফাইল ছবি
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হয়েছে। তাতে অবসান ঘটেছে আওয়ামী দু:শাসনের। তারপর দেশের প্রায় সব সেক্টরে পরিবর্তন এসেছে। সুশাসন ফেরাতে চলছে সংস্কার কার্যক্রম। ক্রীড়াঙ্গণও তা থেকে বাদ যায়নি। ক্রীড়াঙ্গণে সংস্কারে গঠন করা হয়েছে সার্চ কমিটি। অবশ্য তার আগেই বদলে গেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডেও (বিসিবি)।
অজ্ঞাত স্থান থেকে পদত্যাগ পত্র পাঠিয়েছেন তৎকালীন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তার বিদায়ের পর সাবেক ক্রিকেটার ফারুক আহমেদকে নতুন সভাপতি নিযুক্ত করা হয়েছে। তবে তাকে নিয়ে নানা বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সে বিতর্কের মধ্যেই বিসিবির আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা দিয়েছেন সাবেক এ প্রধান নির্বাচক।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ফারুক আহমেদ এ ইচ্ছার কথা জানান। তিনি দাবি করেন, বোর্ডের ভেতরের কিছু মহল তাকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করছে এবং এর জবাব দিতেই তিনি নির্বাচনে লড়বেন।
বিসিবির পরবর্তী নির্বাচন আগামী অক্টোবরে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, বর্তমান সভাপতি চাইলে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই নির্বাচন আয়োজন করতে পারেন। ফারুক আহমেদ নির্বাচনে অংশ নেবেন কিনা তা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই জল্পনা চলছিল। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বাংলা সম্প্রচার মাধ্যম ঠিকানা টেলিভিশনের ‘ঠিকানায় খালেদ মহিউদ্দিন’ অনুষ্ঠানে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বিষয়টি খোলাসা করেন।
ফারুক আহমেদ বলেন, অক্টোবরে আমি নির্বাচন করব। তিনি অভিযোগ করেন, কোনো একটি কোয়ার্টারে দুর্নীতি যারা করেছে ক্রিকেট বোর্ডে, এখনও চেষ্টা করছে আমাকে দমিয়ে রাখার। তাদের জন্য সবচেয়ে সহজ কাজ ফারুক ভাইয়ের জন্য দুই চারটি কলাম লিখলে, দুইটা মিথ্যা কথা বলে বদনাম দিলে ওই ধরনের লোক রিজাইন করে চলে যাবে।
তাকে ইচ্ছাকৃতভাবে কোণঠাসা করার চেষ্টা চলছে দাবি করে বিসিবি সভাপতি আরও বলেন, দেশের ক্রিকেটের উন্নতি ছাড়া তার আর কোনও এজেন্ডা নেই। তিনি মনে করেন, এ পরিস্থিতিতে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালে সমস্যার সমাধান হবে না বরং লড়াই করেই টিকে থাকতে হবে।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।