ফাইল ছবি
৬৫৬ সনের জূন মাসে হযরত উসমান (রা.)-এর নির্মম হত্যার পর মুসলিম উম্মা এক নতুন সংকটে উঠেপড়ে। এ সংকটের মধ্যদিয়ে ইসলামের ইতিহাসে এক সূড়্পান্তিক মোড় ঘটার দিন—যখন নির্বাচিত হন হযরত আলী ইবনে আবু তালিব (রা.) ও বসেন ‘নির্বাচিত জনসাধারণের প্রতিনিধি’ তথা চার খলিফার আসনে।
বিভ্রান্ত দাঙ্গাবাজদের একদল হযরত উসমান (রা.)-কে শহীদ করে। এ নির্মম হত্যাকাণ্ড মুসলিম সমাজে গভীর ক্ষোভ ও শোকের সঞ্চার করে।
তৎকালীন সাহাবায়ে কেরাম ও সাধারণ জনগণের চাপের মুখে হযরত আলী (রা.) খিলাফতের দায়িত্ব নিতে সম্মত হন। যদিও শুরুতে তিনি দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন। কারণ, তিনি জানতেন এ পদে আসীন হওয়া মানে শুধুমাত্র নেতৃত্ব নয়, বরং বিপুল দায়িত্ব ও সম্ভাব্য সংঘাতকে আলিঙ্গন করা।
হযরত আলী (রা.)-এর শাসনকাল ছিল এক ঐতিহাসিক দুঃসময়, যা ছিল ফিতনা ও বিভাজনের যুগ। তার খিলাফতের প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল
-
ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা: হযরত আলী (রা.) সর্বদা ন্যায় ও ইনসাফের পথে অটল ছিলেন। পক্ষপাতহীন বিচার তাঁর পরিচিতি হয়ে ওঠে।
-
সাদাসিধে জীবন: তিনি অত্যন্ত সহজ-সরল জীবনযাপন করতেন এবং খলিফা হয়েও সাধারণ মানুষের মতো জীবনযাপন চালিয়ে যান।
-
জ্ঞান ও প্রজ্ঞা: হযরত আলী (রা.)-এর জ্ঞান, বক্তৃতা ও নীতিকথা মুসলিম বিশ্বে যুগ যুগ ধরে আলো ছড়াচ্ছে। তাঁর অনেক নীতিবাক্য “নাহজুল বালাগা” গ্রন্থে সংকলিত রয়েছে।
-
সাহসিকতা ও নেতৃত্ব: যুদ্ধক্ষেত্রে তিনি ছিলেন অদম্য সাহসী। নবীজি (সা.)-এর জীবদ্দশায়ও তিনি বহু যুদ্ধে বীরত্বের পরিচয় দিয়েছেন। খলিফা হিসেবে তাঁর সাহসিকতা ছিল বিচক্ষণতার সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ।
হযরত আলী (রা.) ৬৬১ খ্রিস্টাব্দে ইবনে মূলজিম নামক এক খারিজির হাতে শহীদ হন। তার শাহাদাত মুসলিম উম্মাহকে গভীরভাবে আলোড়িত করে। তিনি কুফায় শাহাদাতবরণ করেন, সেখানেই তাকে দাফন করা হয়।
আপন দেশ/এমবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।
