
ফাইল ছবি
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচনের আগেই বিচারিক প্রক্রিয়া দৃশ্যমান করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। শনিবার (২৪ মে) বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে এমনটা জানিয়েছেন দলটির আমীর ডা. শফিকুর রহমান।
জামায়াত আমীর বলেন, বৈঠকে আমরা দুটো বিষয় স্পষ্ট করার কথা বলেছি। এরমধ্যে একটি হলো যে সময়ের মধ্যে নির্বাচনের কথা বলা হয়েছে, সে সময় স্পষ্ট করতে হবে। আর অন্যটি হলো নির্বাচনের আগে অবশ্যই সংস্কার ও বিচারের কিছু প্রক্রিয়া জনগণের সামনে আসতে হবে। প্রধান উপদেষ্টা মনোযোগ সহকারে আমাদের কথাগুলো শুনেছেন। তিনি বিষয়টি ইতিবাচকভাবে নিয়েছেন।
তিনি বলেন, সংস্কার ও বিচারের মধ্যদিয়ে একটি অর্থবহ নির্বাচন হবে। সে নির্বাচনে সমতল মাঠ থাকবে। অংশ নেয়াদের কাউকে কোনো ষড়যন্ত্রের মুখোমুখি হতে হবে না। কোনো পেশিশক্তি দেখতে হবে না। প্রধান উপদেষ্টা ইতোমধ্যে কয়েকবার বলেছেন তিনি এ বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন দিতে চান। কিন্তু সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ দেননি। এটিকে কেন্দ্র করে রোপম্যাপের দাবি এসেছে।
জামায়াত আমীর বলেন, বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে দেশে একটি নতুন অধ্যায় সূচিত হয়েছে। এ বিপ্লবের স্বাভাবিক দাবিই ছিলো—অর্থবহ সংস্কার ও অপরাধীদের বিচার। আমরা মনে করি, সে সংস্কার ও বিচারের মধ্য দিয়েই একটি অর্থবহ, অংশগ্রহণমূলক এবং সমতল নির্বাচনী মাঠ নিশ্চিত করা সম্ভব। সে নির্বাচনে কোনো ষড়যন্ত্র কিংবা দলীয় কর্তৃত্ব থাকবে না। গত সাড়ে বছর ধরে মানুষ ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ছিল। এবার তারা যেন নির্ভয়ে সে অধিকার প্রয়োগ করতে পারে—এটাই জনগণের দাবি।
তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ইতোমধ্যে কয়েকবার বলেছেন—এ বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুন মাসের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। তবে এখনো নির্দিষ্ট কোনো রোডম্যাপ দেননি। এ কারণে বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে। আমরা মনে করি—দুইটি বিষয় স্পষ্ট করা জরুরি, ১ নির্বাচনের সময়কাল নির্ধারণ, ২. নির্বাচনের পূর্বে প্রয়োজনীয় সংস্কার ও বিচার কার্যক্রম দৃশ্যমান করা।
জামায়াত আমীর আরও বলেন, বর্তমান সরকার যে পাঁচটি সংস্কার প্রক্রিয়ায় হাত দিয়েছে, সেগুলোর সন্তোষজনক নিষ্পত্তি হওয়া দরকার। এতে দেশের মানুষ আশ্বস্ত হবে। আমরা বিশ্বাস করি, সংস্কার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য ফুটে উঠবে—যেখানে মতের ভিন্নতা থাকবে, কিন্তু তা হবে পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে। আমরা কোনো গোষ্ঠীকে হেয় করবো না, কারো মতকে অবজ্ঞা করবো না।
তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা আমাদের কথা মনোযোগ সহকারে শুনেছেন। আমরা তার প্রতিক্রিয়ায় আশাবাদী। তিনি জানিয়েছেন যে, একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজন করতে চান। আমরা তাকে সম্মান জানিয়ে তাকে পরামর্শ দিয়েছি। আশা করছি, তিনি এসব পরামর্শ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করবেন।
আপন দেশ/এমবি
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।