Apan Desh | আপন দেশ

‘ন্যায্য দাবি মানা হবে, আন্দোলনের প্রয়োজন নেই’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৭:৩১, ২৭ আগস্ট ২০২৫

‘ন্যায্য দাবি মানা হবে, আন্দোলনের প্রয়োজন নেই’

ছবি: আপন দেশ

আন্দোলনরত প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো বিবেচনা করা হবে। তাদের ন্যায্য সমাধান করা হবে। এ মন্তব্য করেছেন  এ বিষয়ে গঠিত কমিটির সভাপতি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

বুধবার (২৭ আগস্ট) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা এ কথা জানান। 

ফাওজুল কবির বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়; সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয় উপদেষ্টার দায়িত্বে রয়েছেন। এ সময় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান উপস্থিত ছিলেন।

তিন দফা দাবিতে দুদিন (মঙ্গল ও বুধবার) ধরে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে আন্দোলন করছেন বুয়েটসহ বিভিন্ন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বুধবার (২৭ আগস্ট) তারা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা ঘেরাওয়ের চেষ্টা করেন।

এর মধ্যে প্রকৌশল পেশায় বিএসসি ডিগ্রিধারী ও ডিপ্লোমাধারীদের পেশাগত দাবিগুলোর‌ যৌক্তিকতা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সুপারিশ দিতে কমিটি গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। ৮ সদস্যের এ কমিটির সভাপতি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান। কমিটিতে চারজন উপদেষ্টা ছাড়াও প্রকৌশলীদের সংগঠনের প্রতিনিধিরা রয়েছেন।

আরও পড়ুন>>>রণক্ষেত্র শাহবাগ, পরিস্থিতি থমথমে

ফাওজুল কবির খান বলেন, এটার (আন্দোলন) সূত্রপাত হয় নেসকোতে (নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি) একটা ঘটনা (একজন প্রকৌশলীকে হত্যার হুমকি) ঘটেছিল, সেটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। শাস্তিমূলক ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। শাস্তিমূলকভাবে বদলি করা হয়েছে।

কমিটি শিগগির বসবে বলেও জানান বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা।

ফাওজুল কবির খান বলেন, দাবি দুদিক থেকে- বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের দাবি এক রকম, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের দাবি ভিন্ন। সব পক্ষের কথা শুনে ন্যায্য যে সমাধান সেটা আমরা করবো।

তিনি বলেন, এ কথাগুলো এ কারণে বললাম যে তারা দেখে বুঝতে পারে আমরা কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করছি।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, তাদের প্রতি আমাদের বার্তা হলো আপনারা নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে যান।‌ তাদের প্রতিনিধিদের নিয়েই আমরা তো সিদ্ধান্ত নেবো। কাজেই তাদের তো আর রাস্তায় আন্দোলনের কারণ নেই, কিংবা অন্য কোথাও যাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।

কমিটির অন্য সদস্য উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, যত দ্রুত সম্ভব আমরা বসে সমস্যার সমাধান করবো। আমরা হয়তো কালকেই বসে যাবো।

আন্দোলনরত প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- নবম গ্রেডের ইঞ্জিনিয়ারিং পদ বা সহকারী প্রকৌশলী বা সমমানের পদে প্রবেশের জন্য সবাইকে নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। প্রার্থীর কমপক্ষে বিএসসি ডিগ্রি থাকতে হবে। কোটার মাধ্যমে পদোন্নতি দেওয়া যাবে না। এমনকি বিভিন্ন নামে সমমানের পদ সৃষ্টি করেও পদোন্নতি দেয়া যাবে না।

দশম গ্রেডের কারিগরি পদ বা উপ-সহকারী প্রকৌশলী বা সমমানের পদের জন্য নিয়োগ পরীক্ষা ডিপ্লোমা ও বিএসসি ডিগ্রিধারীদের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি ডিগ্রি না থাকলেও ইঞ্জিনিয়ার পদবি ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।

প্রকৌশল শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, তারা ছয় মাস ধরে দাবি জানিয়ে এলেও সরকার এসব দাবি পূরণে কাজ করেনি। সরকার তাদের রাস্তায় নামতে বাধ্য করেছে।

আপন দেশ/এমবি

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়