
পাকিস্তানের উপ প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার
পাকিস্তানের উপ প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার ঢাকায় আসছেন। শনিবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে বিশেষ ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন তিনি। এ সময় তাকে স্বাগত জানাবেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পশ্চিম ও পূর্ব) ড. মো. নজরুল ইসলাম।
সফরের প্রথম দিনেই ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশনের পক্ষ থেকে একটি রিসিপশনের আয়োজন করা হয়েছে। ওই অনুষ্ঠানের ফাকে বাংলাদেশের শিক্ষাবিদ, রাজনীতিবিদ ও নাগরিক সমাজের কয়েকজন সদস্যের সঙ্গে আলাদা বৈঠক করবেন ইসহাক দার।
সফরসূচি অনুযায়ী রোববার (২৪ আগস্ট) সকালে অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিলিত হবেন ইসহাক দার। বৈঠক শেষে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকগুলো স্বাক্ষরের কথা রয়েছে। এরপর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন তিনি।
বৈঠকগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সম্পূর্ণ পরিসর এবং বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে।
ঢাকায় সরকারি সূত্র জানিয়েছে, এবারের সফরে দুদেশের মধ্যে কূটনীতিক ও সরকারি পাসপোর্টে বিনা ভিসায় যাতায়াতের বিষয়ে চুক্তি, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বিষয়ে ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন, দুই দেশের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা, ফরেন সার্ভিস একাডেমি ও কৌশলগত বিষয়ে সরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সহযোগিতার বিষয়ে কয়েকটি সমঝোতা স্মারক সই হবে।
আরও পড়ুন<<>>প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাতিসংঘের বিশেষ দূতের সাক্ষাৎ
এ ছাড়া সাংস্কৃতিক সহযোগিতার বিষয়ে আগে সই হওয়া একটি চুক্তি নবায়ন করা হবে। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনীর গণহত্যা, স্বাধীনতা-পূর্ব অভিন্ন সম্পদে বাংলাদেশের অংশ হস্তান্তর ও আটকেপড়া পাকিস্তানিদের ফেরত নেওয়াসহ বিভিন্ন বিষয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের আলোচনায় আসবে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের সঙ্গে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাতের কথা রয়েছে।
এর আগে ২০১২ সালে সর্বশেষ পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে বাংলাদেশ সফর করেছিলেন হিনা রব্বানি খার। ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনের জন্য তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানাতে ওই সময় ঢাকা সফর করেছিলেন তিনি।
গণঅভ্যুত্থানের পর গত বছরের আগস্টে হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত ও ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্কের যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে বেশকিছু অগ্রগতিও হয়েছে।
এ ছাড়া বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধির অনুমতি দিয়ে পাকিস্তানি পণ্যের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞাও তুলে নিয়েছে এবং সমুদ্রপথে দুই দেশ সরাসরি বাণিজ্যও শুরু করেছে।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।