প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান ১৭তম নিবন্ধনধারীদের

দাবি আদায়ে রাজপথে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনে উত্তীর্ণ প্রার্থীরা। তাদের দাবি—আদালতের রায় অনুসারে বিশেষ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে নিয়োগের সুযোগ দিতে হবে।

রোববার (১৫ জুন) দুপুরের দিকে আন্দোলনকারীরা জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে মিছিল নিয়ে সচিবালয়ের দিকে অগ্রসর হলে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন। পরে প্রেস ক্লাব মোড়েই তারা অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন।

এর আগে সচিবালয় অভিমুখে মিছিল নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের সঙ্গে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। আন্দোলনকারীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যেতে চাইলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ একাধিক সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে ও লাঠিচার্জ করে।

আরও পড়ুন>>>নিয়োগপ্রত্যাশীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ-সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ

তবুও আন্দোলনকারীরা পিছু হটেননি। তারা ব্যারিকেডের সামনে অবস্থান নিয়েই স্লোগান ও বিক্ষোভ চালিয়ে যান। পরে পরিস্থিতি সামাল দিতে আন্দোলনকারীরা প্রেস ক্লাব মোড়ে ফিরে আসেন। সেখানে শান্তিপূর্ণ অবস্থান নেন।

এ বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সচিবালয় এলাকায় আগেই সভা-সমাবেশ, গণজমায়েত, মিছিল ও শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ ছিল। ৮ জুন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) এক গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সচিবালয় ও প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন 'যমুনা' সংলগ্ন এলাকায় এসব কর্মসূচি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।

এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই এনটিআরসিএ নিয়োগপ্রত্যাশীরা সচিবালয়ের দিকে মিছিল নিয়ে এগিয়ে যান। ফলে পুলিশ বাধ্য হয় পদক্ষেপ নিতে।

আন্দোলনে অংশ নেওয়া এক শিক্ষক বলেন,

আমরা বারবার শান্তিপূর্ণভাবে দাবি জানাচ্ছি। অথচ সরকার বারবার তা উপেক্ষা করছে। এখন এনটিআরসিএ ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে যাচ্ছে। কিন্তু ১৭তম ব্যাচের সমস্যা এখনও অনিষ্পন্ন। তাই আমরা বাধ্য হয়েই সচিবালয়ের সামনে গিয়ে অবস্থান নিতে চাই। আমাদের কোনো বিকল্প নেই।

আন্দোলনকারিদের দাবিগুলো হলো-

১. ১৭তম ব্যাচের নিবন্ধিত প্রার্থীদের জন্য আপিল বিভাগের রায় অনুসারে বিশেষ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে অন্তত একবার আবেদন করার সুযোগ দিতে হবে।

২. ১৭তম ব্যাচের বিষয় নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির কার্যক্রম স্থগিত রাখতে হবে।

৩. আইন ও বিচার মন্ত্রণালয় এবং এনটিআরসিএর সুপারিশ অনুযায়ী দ্রুত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

আপন দেশ/এমবি