Apan Desh | আপন দেশ

করিডর নিয়ে কারও সঙ্গে কোনো কথা হয়নি: নিরাপত্তা উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবদেক

প্রকাশিত: ১৮:২৮, ২১ মে ২০২৫

করিডর নিয়ে কারও সঙ্গে কোনো কথা হয়নি: নিরাপত্তা উপদেষ্টা

ছবি: আপন দেশ

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে করিডর স্থাপনের কথা ‘গুজব ও সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন’। এ মন্তব্য করেছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। তি‌নি ব‌লে‌ন, করিডর নিয়ে আমাদের সঙ্গে কারও কোনো কথা হয়নি, হবেও না।

বুধবার (২১ মে) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একা‌ডি‌মে‌তে এক ব্রিফিংয়ে তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে এসব কথা।

নিরাপত্তা উপ‌দেষ্টা ব‌লেন, করিডরের বিষয়টা বুঝতে হবে। এটা হচ্ছে একটা ইমারজেন্সি সময়ে দুর্যোগপূর্ণ জায়গা থেকে মানুষকে সরিয়ে নেয়ার ব্যবস্থা। আমরা এখানে কাউকে সরাচ্ছি না। যেহেতু আরাকানে সাহায্য সহযোগিতা অন্যান্য সাপ্লাই রুট দিয়ে সম্ভব হচ্ছে না, জাতিসংঘ আমাদের এইটুকুই বললো যে, কাছেই যেহেতু বর্ডার, তাদের সাহায্য করতে, যাতে ত্রাণগুলো ওপারে নিয়ে যেতে পারে।

আরও পড়ুন>>>‌‘বিএনপিপন্থী উপদেষ্টাদের পদত্যাগ করাতে বাধ্য হবো’

তি‌নি ব‌লেন, জাতিসংঘ রাখাইনে তার নিজস্ব সহযোগী সংস্থার মাধ্যমে ত্রাণ পৌঁছাবে। আপনারা জাতিসংঘকে জিজ্ঞেস করেন, প্রমাণ পাবেন। আমরা করিডর নিয়ে কারও সঙ্গে কোনও ধরনের কথা বলি নাই, বলবো না। আরাকানের যে অবস্থা তাতে করিডরের কোনও প্রয়োজন নাই।

খ‌লিলুর রহমান ব‌লেন, আমাদের ধারণা এ কাজটি করতে পারলে সেখানকার পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল হবে। আমরা সে অবস্থায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনা করতে পারব। যতদিন আরাকান অস্থিতিশীল থাকবে আমরা প্রত্যাবাসনের কথা বলতেই পারব না। আর তাহলে তো প্রত্যাবাসন কৌশল নিয়েও কথা বলতে পারব না। অনেকেই বলছেন করিডর নিয়ে আলাপ করছেন, আমাদের জানান নাই। অস্তিত্ববিহীন জিনিস নিয়ে কী করে আলাপ করবো, যার অস্তিত্ব নাই সেই বিষয়ে আলাপ কী করে হয়।

এ সময় ক‌রিডর নি‌য়ে পররাষ্ট্র উপ‌দেষ্টা মো. তৌ‌হিদ হো‌সে‌নের বক্তব্য টে‌নে নিরাপত্তা উপ‌দেষ্টা ব‌লেন, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা করিডর শব্দটা উচ্চারণ করেছিলেন, করেই কিন্তু বলেছেন পাথওয়ে। সেটা স্লিপ অব টাং ছিল। কথাবার্তা অনেক সময় স্লিপ হতে পারে, কিন্তু উনি কারেক্ট করেছিলেন। উনি সেই কথা আর কখনই বলেন নাই।

ত্রাণ রাখাইনে নিয়ে যাওয়ার পরে ব্যবস্থাপনা কীভাবে হবে, এ প্রশ্নের জবাবে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, পুরো কন্ট্রোল থাকবে জাতিসংঘের, ওপারে নিয়ে যাওয়ার পরে সেখানকার নিরাপত্তা, সবকিছু তাদের দায়িত্ব। আমাদের দায়িত্ব সীমান্ত পর্যন্ত, সেখানে মাদকপাচার হচ্ছে কিনা, অন্য কিছু হচ্ছে কিনা, সেটা আমরা দেখবো। দুই পক্ষ সম্মত হলে, কনফ্লিট কমলেই শুধু আমরা যাবো।

ক‌রিডর দেয়ার বিষ‌য়ে বি‌দে‌শি‌দের চাপ নি‌য়ে এক প্রশ্নের জবা‌বে নিরাপত্তা উপ‌দেষ্টা ব‌লেন, আমাদের ওপর কারও চাপ নেই। যুক্তরাষ্ট্র, চীনসহ যারাই আছেন অংশীজন, আমরা সবার সঙ্গে কথা বলছি। তাড়াহুড়োর কোনও কথা নেই। হিসাব আমাদের সোজা, সেটা হচ্ছে রোহিঙ্গাদের ফেরত যেতে হবে। ফেরত গিয়ে আবার যেন ফেরত না চলে আসে। টেকসই প্রত্যাবাসন হতে হবে।

আপন দেশ/এমবি

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়