ফাইল ছবি
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল বাতিল, খালেদা জিয়াসহ বিরোধী নেতাকর্মীদের মুক্তি ও সরকার পতনের একদফা দাবিতে বুধবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল ছয়টা থেকে শুক্রবার সকাল ছয়টা পর্যন্ত দশম দফায় ৪৮ ঘণ্টাব্যাপী বিএনপির সর্বাত্মক অবরোধ চলছে। আলাদাভাবে অনুরূপ সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে জামায়াতে ইসলামীও।
বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের শরিক গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তবাদী সমমনা জোট, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, এলডিপি, লেবার পার্টিসহ সমমনা দলগুলোও পৃথকভাবে দশম দফায় এই অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) বিকালে এক ভার্চুয়ালি সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। একই সময় জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এ টি এম মাছুমও অনুরূপ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
এদিকে, অবরোধ কর্মসূচির শুরুর দিন সকালে রাজধানীর খিলগাঁও তালতলা এলাকায় অগ্রণী ব্যাংকের একটি স্টাফ বাসে (বিআরটিসি) আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আগের রাতে মঙ্গলবার ঢাকায় আরও তিনটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। রাত ২টার দিকে বাড্ডার আফতাবনগরে দাঁড় করিয়ে রাখা আকাশ পরিবহনের দুটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এর আগে রাত ১২টার দিকে মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যানের সামনের সড়কে একটি কাভার্ডভ্যানে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে পথচারীরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন এবং ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন।
আরও পড়ুন <> বাংলাদেশে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দেখতে চাই যুক্তরাষ্ট্র
এদিকে রাজধানীতে অবরোধের মধ্যেও গণপরিবহনের চলাচল ছিল চোখে পড়ার মতো। খুবই অল্পসংখ্যক দূরপাল্লার বাস রাজধানী ছেড়ে গেছে।
নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মোতায়েন রয়েছেন পুলিশসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। সন্দেহভাজন কাউকে দেখলে তল্লাশি করতে দেখা গেছে। এ ছাড়া, গাবতলীর পর্বতে বাস থামিয়েও তল্লাশি করছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে মাঝ পথেই পণ্ড হয় যায় বিএনপির সমাবেশ। সমাবেশ বানচালের প্রতিবাদে পরের দিন (২৯ অক্টোবর) সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা বিএনপি হরতাল পালন করে। এক দিন বিরতি দিয়ে ৩১ অক্টোবর থেকে টানা তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচি দেয়া হয়।
এসব কর্মসূচি চলাকালে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ দলের সিনিয়র নেতাদের গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আর গ্রেফতারের বাইরে থাকা নেতারা আত্মগোপনে রয়েছেন।
আপন দেশ/এমআর
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।