সংগৃহীত ছবি
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের বিচার শুরু হচ্ছে। সোমবার (২২ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
দুপুর ১২টায় সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হককে কাঠগড়ায় আনা হয়। বিচারিক প্যানেলের নেতৃত্বে ছিলেন বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদার। প্যানেলের অন্য সদস্যরা হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
প্যানেলের বাকি দুই সদস্য বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। সঙ্গে রয়েছেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম, প্রসিকিউটর ফারুক আহাম্মদ, আবদুস সাত্তার পালোয়ানসহ অন্যরা।
শুরুতেই চিফ প্রসিকিউটর বললেন, জুলাই আন্দোলন দমনে কারফিউ জারি করে গণহত্যার যে অভিযোগ, সে বিষয়ে আজ শুনানি হবে এ দুই আসামির। এ সময় চিফ প্রসিকিউটর সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হকের বিরুদ্ধে একে একে ৫টি অভিযোগ পড়ে শোনান।
নিজেদের অভিযোগ শুনে এ সময় নিবিষ্ট মনে ফ্লোরের দিকে তাকিয়ে হাসছিলেন সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হক।
এসময় চিফ প্রসিকিউটর জানান, একটি অডিও শোনাতে চান, যেখানে প্রমাণ করা যাবে ঠিক কি অভিযোগে তাদের বিচার শুরুর আবেদন করেছেন তারা।
অডিও বাজিয়ে শোনানো হলে দেখা যায় সেখানে, সালমান এফ রহমানকে আনিসুল হক আন্দোলন দমনে আন্দোলনকারীদের শেষ করে দেয়ার কথা বলেন। শুধু তাই নয় কারফিউ দিতে বার বার অনুরোধ করা হচ্ছে বলেও শোনা যায়।
এ সময় নিজেদের ফোনের অডিও শুনে নিজেরাই হাসতে থাকেন সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হক। নিজেদের মধ্যে কথা বলতেও দেখা যায় তাদের।
পরে চিফ প্রসিকিউটর এ দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আহবান জানান। পরে সালমান আনিসুলের সে হাসিমুখ মিলিয়ে যায়।
এর আগে, ৪ ডিসেম্বর সালমান ও আনিসুলের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। পরে প্রসিকিউশনের শুনানি শেষে অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল।
আপন দেশ/এমবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।




































