Apan Desh | আপন দেশ

গোপন বার্তা ফাঁস, পুলিশ কনস্টেবল গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১০:৪৫, ১৮ আগস্ট ২০২৫

আপডেট: ১১:৩৩, ১৮ আগস্ট ২০২৫

গোপন বার্তা ফাঁস, পুলিশ কনস্টেবল গ্রেফতার

সিএমপির লোগো

পুলিশের অভ্যান্তরীন গোপন বার্তা ফাঁসের অভিযোগে অমি দাশ নামের এক পুলিশ কনস্টেবলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার হাসিব আজিজের দেয়া বক্তব্য ফাঁস করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে। সিএমপির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রোববার (১৭ আগস্ট) দিবাগত রাতে অমিকে গ্রেফতার করে খুলশী থানা পুলিশ। তার বিরুদ্ধে অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে মামলা করা হয়েছে। 

অমি দাশ পুলিশের টেলিকম ইউনিটের কনস্টেবল। তিনি প্রেষণে সিএমপির খুলশী থানায় কর্মরত রয়েছেন। অমি দাশের গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের পটিয়ায়। তার বাবার নাম রাজিব দাশ।

গত ১২ আগস্ট ওয়াকিটকিতে সিএমপির সকল সদস্যের উদ্দেশ্যে অস্ত্রধারীদের দেখামাত্র গুলির নির্দেশ দেন কমিশনার হাসিব আজিজ। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হাতে নগরের বন্দর থানার এক কর্মকর্তা গুরুতর আহত হওয়ার পর এ বার্তা দেন তিনি। সিএমপি কমিশনারের এই বার্তা ওয়াকিটকিসহ ভিডিও করেন এক কর্মকর্তা। পরে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিওটি ছড়িয়ে দেন। 

কমিশনারের ওই বার্তা ফাঁস হওয়ায় অস্বস্তিতে পড়েন চট্টগ্রাম নগরের শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তারা। নিজেদের গোপনীয় এমন বার্তা বাইরে চলে যাওয়ায় নড়েচড়ে বসেন তারা। এরপর একাধিক টিম তদন্তে নেমে ওই কনস্টেবলকে শনাক্ত করা হয়।

আরও পড়ুন<<>>বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৪১ হাজার শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ

১১ আগস্ট দিবাগত রাত ২টার দিকে সল্টগোলা ক্রসিং ইশান মিস্ত্রি হাট সংলগ্ন সড়কে মিছিল করে আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এসময় বিক্ষোভকারীদের হামলায় পুলিশের বন্দর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু সাঈদ গুরুতর আহত হন। 

পরদিন দিবাগত রাতে ওয়্যারলেসে সিএমপির সব সদস্যদের উদ্দেশে মৌখিক নির্দেশনায় কমিশনার বলেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের আগে যে অস্ত্রের প্রাধিকার ছিল, ওই প্রাধিকার অনুযায়ী থানার মোবাইল পার্টি, পেট্রোল পার্টি, ডিবির টিমসমূহ ও সকল ফোর্স অস্ত্র ক্যারি করবে। আগ্নেয়াস্ত্র ছাড়া এবং লাইভ অ্যামুনিশন ছাড়া কোনো পেট্রোল পার্টি, মোবাইল পার্টি, ডিবির পার্টি, চেকপোস্ট পার্টি বের হবে না। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের আগের প্রাধিকার অনুযায়ী লাইভ অ্যামুনিশন ছাড়া কেউ বের হবে না। প্রাধিকার অনুযায়ী অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং স্যুট পরে তারপর ডিউটিতে যাবে। 

তিনি আরও বলেন, শুধুমাত্র রবার বুলেট দিয়ে কাজ হচ্ছে না। বন্দরে (বন্দর থানা) একজন এসআই গুরুতর আহত হয়েছেন। আরেকদিন আরও বড় দুর্ঘটনা ঘটবে। বন্দর থানার অফিসার যে অবস্থায় পড়েছেন, ওই পরিস্থিতিতে পড়লে যেন মরদেহ ছাড়া মোবাইল পার্টি, পেট্রোল পার্টি ফেরত না আসে। পুলিশের কোনো টহল পার্টির সামনে অস্ত্র বের করলে, আই রিপিট, সেটা ধারালো অস্ত্র হতে পারে কিংবা আগ্নেয়াস্ত্র হতে পারে—অস্ত্র বের করা মাত্র গুলি হবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই, সবাইকে বলছি। আত্মরক্ষার ব্যক্তিগত অধিকার, দণ্ডবিধি ৯৬ থেকে ১০৬ পর্যন্ত, আত্মরক্ষার ব্যক্তিগত অধিকার সকল পুলিশ অফিসারের আছে। অস্ত্র কিংবা কোপ দেয়ার আগে অস্ত্র বের করা মাত্র গুলি হবে। সরকারি গুলির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

আপন দেশ/জেডআই

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়