Apan Desh | আপন দেশ

ইসরায়েলকে ফ্রান্স-সৌদির ‘রেড লাইন’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৭:২৩, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ইসরায়েলকে ফ্রান্স-সৌদির ‘রেড লাইন’

সংগৃহীত ছবি

মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফেরাতে ও ফিলিস্তিনকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে নিউইয়র্কে একটি বড় ধরনের বৈশ্বিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাতিসংঘ, ফ্রান্স ও  সৌদি আরবের যৌথ উদ্যোগে এ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।

সম্মেলন শেষে আয়োজক দেশ ফ্রান্স ও সৌদি আরব ইসরায়েলের জন্য একটি চূড়ান্ত হুঁশিয়ারি বা ‘রেড লাইন’ ঘোষণা করেছে। এ রেড লাইন হলো— ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের যেকোনো ধরনের দখল বা বসতি স্থাপন কার্যক্রম।

যৌথ ঘোষণাপত্রে দেশ দুটি পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছে, ইসরায়েল যদি এ সীমা লঙ্ঘন করে, অর্থাৎ পশ্চিম তীরে নতুন করে সম্প্রসারণের চেষ্টা করে, তবে তার ফল ভালো হবে না। এমনটা ঘটলে ইসরায়েলের সঙ্গে তাদের বর্তমান শান্তিচুক্তি ও অন্যান্য কূটনৈতিক সম্পর্ক সরাসরি হুমকির মুখে পড়বে। সহজ কথায়, পশ্চিম তীরে নতুন দখলদারি চললে ইসরায়েলকে গুরুতর পরিণতি ভোগ করতে হবে।

আরও পড়ুন>>>সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি মারা গেছেন

ঘোষণাপত্রে বলা হয়, ইসরায়েলকে অনতিবিলম্বে গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধ করতে হবে। গাজায় বন্দি সব ইসরায়েলি জিম্মির মুক্তি নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করতে হবে, ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দিতে হবে ও গাজায় মানবিক সহায়তার প্রবেশ অবাধ রাখতে হবে।

এছাড়া পশ্চিম তীরে ক্ষমতাসীন ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের নেতৃত্বে গাজা উপত্যকা ও পশ্চিম তীরের সমন্বয়ে একটি স্বাধীন-সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের ব্যাপারে একমত হয়েছে সম্মেলনে অংশ নেয়া দেশগুলো। তাই এখন থেকে পশ্চিম তীর ইসরায়েলের জন্য রেড লাইন। পশ্চিম তীরে যে কোনো ধরনের সম্প্রসারণ কার্যক্রম ইসরায়েলের গুরুতর পরিণতি বয়ে আনবে। বর্তমানে ইসরায়েলের সঙ্গে আমাদের শান্তিচুক্তিসহ অন্যান্য যেসব চুক্তি রয়েছে, সেগুলোকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলবে।

সম্মেলনের ঘোষণাপত্রে গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসকে অস্ত্র সমর্পণ ও গাজার প্রশাসন থেকে বিদায় নেয়ার আহবানও জানানো হয়েছে।

প্রায় দু’মাস ধরে প্রস্তুতির পর গত কাল সোমবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ মিলনায়তনে হয়েছে এ সম্মেলন। ইসরায়েল ও তার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র উভয়েই বর্জন করেছে এ সম্মেলন।

এ সম্মেলনেই ফিলিস্তিনকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছে ফ্রান্স, বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ, অ্যান্ডোরা, মোনাকো। সম্মেলনের আগে স্বীকৃতি দিয়েছে যুক্তরাজ্য ও পর্তুগাল।

সোমাবার ইসরায়েলের জাতিসংঘ প্রতিনিধি দলের সদস্য ড্যানি ডেনন বৈশ্বিক এ সম্মেলকে ‘সার্কাস’ উল্লেখ করে বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেছেন, এ সম্মেলনে কোনো কাজ হবে বলে আমাদের মনে হয় না ও আমরা মনে করি, সন্ত্রাসবাদকে পুরস্কৃত করতে এ সম্মেলনের ডাক দেয়া হয়েছে।

তবে আগের দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা এক ভিডিওবার্তায় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন, আমরা চাই, (আল আকসা অঞ্চলে) পাশাপাশি দু’টি রাষ্ট্র থাকবে। একটি রাষ্ট্র হবে ইসরায়েল, যা ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে; অপর রাষ্ট্রটি হবে ফিলিস্তিন— যা ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেবে। আমাদের একমাত্র দাবি আল আকসা অঞ্চলে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান নীতির বাস্তবায়ন। সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল

আপন দেশ/এমবি

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়