
ফাইল ছবি
প্রায় দেড় বছর ধরে স্থিতিশীল রয়েছে করোনা পরিস্থিতি। কোথাও নেই স্বাস্থ্যবিধির বাধ্যবাধকতা, নেই মাস্ক পরার প্রবণতা। এমনকি রোগী একেবারে কমে আসায় হাসপাতালগুলোতে মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে করোনা পরীক্ষার কিট। উদাসীনতা দেখা যায় টিকা নিতেও। এর মধ্যেই নতুন করে রে শঙ্কারার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে করোনা।
গত মাস থেকে ক্রমেই ভাইরাসটিতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। পুরোনো ধরন অমিক্রনের দুটি উপধরনের মাধ্যমে ব্যাপকভাবে বিস্তার ঘটছে ভাইরাসটির। ইতোমধ্যে দেশের স্থল ও আকাশপথসহ সব প্রবেশপথে সতর্কতা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
রোগতত্ত্ববিদরা বলছেন, সংক্রমণের যে ধারা তাতে চলতি মাসের শেষ দিকেই ব্যাপক আকারে বাড়তে পারে করোনার সংক্রমণ। ঈদুল আজহায় বিপুল পরিমাণ মানুষ ঢাকা থেকে যাওয়া-আসার ফলে পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে বুধবার (১১ জুন) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফর বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ফের বাড়তে শুরু করেছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। চিহ্নিত হচ্ছে ভাইরাসটির নতুন নতুন সাব ভ্যারিয়েন্ট। এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশেও সংক্রমণ বৃদ্ধির শঙ্কায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। সংক্রমণ ঠেকাতে বন্দরে নজরদারি জোরদার করার পাশাপাশি জনসাধারণের উদ্দেশে ৭টি নির্দেশনা দিয়েছে সংস্থাটি।
তিনি বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে করোনা ভাইরাসজনিত সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। করোনা ভাইরাসের কয়েকটি নতুন সাব ভ্যারিয়েন্ট ইতোমধ্যে চিহ্নিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের মাধ্যমে বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের বিস্তার প্রতিরোধে দেশের সব স্থল, নৌ, বিমান বন্দরের আইএইচআর ডেস্কসমূহে নজরদারি ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়গুলো জোরদার করার বিষয়ে ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এসময় স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি ও সংক্রমণ থেকে বাঁচতে ৭ নির্দেশনা দেন।
নির্দেশনাগুলো হলো—
১. জনসমাগম এড়িয়ে চলুন। একান্ত প্রয়োজন হলে অবশ্যই মাস্ক পরুন।
২. শ্বাসতন্ত্রের রোগ থেকে বাঁচতে নিয়মিত মাস্ক ব্যবহার করুন।
৩. হাঁচি বা কাশির সময় নাক-মুখ ঢেকে রাখুন (কনুই বা টিস্যু ব্যবহার করে)।
৪. ব্যবহৃত টিস্যু ঢাকনাযুক্ত ময়লার ঝুড়িতে ফেলুন।
৫. সাবান ও পানি অথবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধুয়ে ফেলুন।
৬. অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক, মুখ স্পর্শ করবেন না।
৭. আক্রান্ত ব্যক্তিদের থেকে অন্তত ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখুন।
সংবাদ সম্মেলনে করোনা শনাক্তকরণ ও চিকিৎসা ব্যবস্থার প্রস্তুতির বিষয়েও বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে।
আপন দেশ/এমবি