ছবি : আপন দেশ
আমরা সবাই এখানে পারস্পরিক দায়বদ্ধ সম্পর্কের মধ্যে আবদ্ধ। পারস্পরিকতা, যুক্তিনিষ্ঠতা একে অপরকে ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা পরিহার- এ তিনটি নীতি হওয়া উচিত সম্পর্কের মূল ভিত্তি, যা বিচার বিভাগের স্বায়ত্তশাসনের স্থায়িত্ব নিশ্চিত করবে।
অবিশ্বাস কিংবা একতরফা সিদ্ধান্তগ্রহণের সামান্য ইঙ্গিতও গত পনেরো মাস ধরে যে প্রাতিষ্ঠানিক স্বাধীনতার স্থাপত্য আমরা গড়ে তুলেছি, তা বিপন্ন করে দিতে পারে। এসব কথা বলেছেন, প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে আইন বিভাগের ৭২ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তিনি।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ২০২৫ সালের সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশকে অন্তঃসরকারি মন্ত্রিসভা কর্তৃক মাত্র দুই দিন আগে অর্থাৎ ২৩ অক্টোবর যে ‘নীতিগত অনুমোদন’ দেওয়া হয়েছে, তা একটি সুপরিকল্পিত বহুপাক্ষিক প্রয়াসের ফল। গত পনেরো মাসে এই প্রয়াসে মাননীয় প্রধান বিচারপতির কার্যালয়ের কৌশলগত অবস্থান- এ অন্তর্বর্তী সরকারের নির্বাহী শাখার সঙ্গে- একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে এবং তা আগামী দিনগুলোতেও অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, এখন থেকে সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজন- পরবর্তী সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনসমূহ, সারা দেশের বার কাউন্সিলসমূহ, বিশেষত সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ও জেলা আদালত, ম্যাজিস্ট্রেসির বিচারকবৃন্দ এবং বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। এদের প্রত্যেকের জন্যই এ ধরনের কাঠামোগত রূপান্তরের টেকসই বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা অত্যাবশ্যক।
অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সালেহ্ হাসান নকীব। বিশেষ অতিথি উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী, বিচারপতি এস. এম. এমদাদুল হক এবং বিচারপতি এ. কে. এম. আসাদুজ্জামান। এ ছাড়া আইন বিভাগের প্রাক্তন প্রায় চার শতাধিক শিক্ষার্থীও অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
আপন দেশ/এবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।




































