
ছবি: আপন দেশ
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পাসের ভেতরে রিকশা ও ইজিবাইকের জন্য ভাড়া নির্ধারণ করে দিলেও বাস্তব চিত্র ভিন্ন। অধিকাংশ রিকশাচালক নির্ধারিত ভাড়া মানছেন না। এতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।
সম্প্রতি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা গেছে, শিক্ষার্থী ও রিকশাচালকদের মধ্যে প্রায়ই ভাড়াকে কেন্দ্র করে তর্কাতর্কি হচ্ছে। রিকশাচালকদের বড় একটি অংশ নির্ধারিত ভাড়া মানতে অনিচ্ছুক।
বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. মুরসালিন বলেন, ময়মনসিংহ শহরের সঙ্গে মিলিয়ে ক্যাম্পাসে অনেক রিকশাচালক ভাড়া দাবি করে। কিন্তু ময়মনসিংহ শহরে চলাচলে প্রচুর যানজট মোকাবিলা করতে হয়। এক জায়গাতেই অনেকক্ষণ বসে থাকতে হয়। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে কোনো যানজট নেই। প্রশাসন নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা অবশ্যই দূরত্ব পরিমাপ করেই দিয়েছে। তাই রিকশাচালকদের শহরের সঙ্গে তুলনা করে ভাড়া চাওয়া অমূলক।
আরেক শিক্ষার্থী সোহান জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের কে. আর. মার্কেট হতে শেষ মোড় পর্যন্ত রিকশা ভাড়া ১০ টাকা নির্ধারিত। কিন্তু আমার কাছে দ্বিগুণ ভাড়া ২০ টাকা দাবি করে রিকশাচালক। এতোটুকু পথের ভাড়া ২০ টাকা মানতে নারাজ তিনি। তাই প্রশাসন যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে চলাচলের জন্য নির্দিষ্ট রিকশার ব্যবস্থা করে, তাহলে এ ভোগান্তি থেকে সহজেই মুক্তি পাবেন বলে জানান এ শিক্ষার্থী।
আরওপড়ুন<<>>জাতীয় সঙ্গীত অবমাননার প্রতিবাদে সমবেত কণ্ঠে গাইলেন রাবি শিক্ষার্থীরা
রিকশাচালক মো. কমল বলেন, প্রশাসন একটা ভাড়া ঠিক করে দিয়েছে, কিন্তু সেটা আমাদের খরচ অনুযায়ী যথেষ্ট না। এ বাজারে ভাড়া ১০ টাকায় চলে না। চারপাশে জিনিসপত্রের যে দাম, তাতে প্রশাসনের ঠিক করা ভাড়ায় চলা খুবই কঠিন। ময়মনসিংহ শহরে ২০ টাকার নিচে রিকশা ভাড়াই নেই।
এ বিষয়ে বাকৃবির সহযোগী ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ বলেন, শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে বর্তমান প্রশাসন ক্যাম্পাসের ভেতের রিকশা ও অটো ভাড়া নির্ধারণ করে দিয়েছে। ক্যাম্পাসের বাইরে থেকেও অনেক রিকশা ক্যাম্পাসের ভেতরে প্রবেশ করে এবং ভাড়া নিয়ে ঝামেলা করে। ক্যাম্পাসের মধ্যেই যারা নিয়মিত রিকশা চালায় তাদের আরও মোটিভেট করার চেষ্টা করবো।
তবে অনেক সময় বৃষ্টি বা অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় রিকশা ভাড়া বেশি চাওয়া হয়। শিক্ষার্থীদেরও সেই সময় মানবিক হতে হবে। যেহেতু বিষয়টি শিক্ষার্থী কেন্দ্রিক। তাই আমরা রিকশাচালকদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে দ্রুতই এ সমস্যা সমাধান করব বলেও জানান তিনি।
এর আগে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে উল্লেখ করা হয়েছিলো- কে. আর. মার্কেট হতে প্রশাসনিক ভবন, টি.এস.সি, হেলথ কেয়ার সেন্টার, করিম ভবন, ঈশা খাঁ হল, শহীদ জামাল হোসেন হল, শেষ মোড়, শহীদ নাজমুল আহসান হল, আশরাফুল হক হল, শহীদ শামসুল হক হল, কৃষি সম্প্রসারণ ভবন পর্যন্ত রিকশায় ভাড়া ১০ টাকা ও অটোতে ভাড়া ৫ টাকা। বাকৃবির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ওই ভাড়ার তালিকা টানিয়ে দেয়া হয়।
আপন দেশ/এমএইচ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।