Apan Desh | আপন দেশ

চট্টগ্রাম বন্দরে মাশুল বাড়বে ৪১ শতাংশ, ব্যবসায়ীদের উদ্বেগ

নিজস্ব প্রতেবদক

প্রকাশিত: ১৩:৩৮, ২৫ আগস্ট ২০২৫

আপডেট: ১৩:৪২, ২৫ আগস্ট ২০২৫

চট্টগ্রাম বন্দরে মাশুল বাড়বে ৪১ শতাংশ, ব্যবসায়ীদের উদ্বেগ

চট্টগ্রাম বন্দর। ছবি সংগৃহীত

প্রায় চার দশক (৩৯ বছর) পর মাশুল বাড়াতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর। প্রস্তাবিত হার অনুযায়ী বন্দর সেবায় গড়ে ৪১ শতাংশ মাশুল বাড়ানোর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। তবে বন্দর ব্যবহারকারীদের আপত্তির মুখে মাশুল বাড়ানোর প্রস্তাব নিয়ে আবার পর্যালোচনায় বসছে মন্ত্রণালয়।

সোমবার (২৫ আগস্ট) নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেনের সভাপতিত্বে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। বৈঠকে বন্দর কর্তৃপক্ষ ও বন্দর ব্যবহারকারী আমদানি-রফতানিকারদের প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন।

এদিকে, বন্দরে মাশুল বাড়লে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে মনে করেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।

জানা যায়, চট্টগ্রাম বন্দরের প্রস্তাবিত নতুন মাশুল গত ২৪ জুলাই অনুমোদন দিয়েছিল অর্থ মন্ত্রণালয়। এরপর আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিং শেষে ওই প্রস্তাব গেজেট আকারে প্রকাশ হলে নতুন মাশুল কার্যকর হওয়ার কথা। কিন্তু তার আগেই একসঙ্গে গড়ে ৪১ শতাংশ হারে মাশুল বাড়ানোর বিষয়ে আপত্তি জানায় ব্যবহারকারীরা। এ অবস্থায় গেজেট প্রকাশের আগে শেষ মুহূর্তে বন্দরের মাশুল বাড়ানোর বিষয়টি আবারও পর্যালোচনা করা হচ্ছে।

আরওপড়ুন<<>>‘চট্টগ্রাম বন্দর সেরা না হলে দেশের অর্থনীতি সেরা হবে না’

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, ১৯৮৬ সালের পর বন্দরের মাশুল বাড়ানো হচ্ছে। বর্ধিত মাশুল কার্যকর হওয়ার পরেও আশপাশের দেশগুলোর তুলনায় মাশুল অনেক কম থাকবে।

বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে এ বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। ইতোমধ্যে বন্দর চেয়ারম্যান, সদস্যসহ (অর্থ) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠকে অংশ নিতে ঢাকায় অবস্থান করছেন।

নতুন মাশুল কার্যকর হলে বন্দরের আয় বাড়বে গড়ে ৪১ শতাংশ। বন্দরের সব মাশুল নির্ধারিত হয় ডলারে। যে কারণে দেশে ডলারের মূল্যবৃদ্ধি হলে তার সঙ্গে একইহারে মাশুলের পরিমাণ বাড়বে।

আরওপড়ুন<<>>‘চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে ষড়যন্ত্র থেকে সরে আসুন’

প্রস্তাবনা অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি মাশুল বাড়ানো হয়েছে কনটেইনার পরিবহনে। এতে প্রতি ২০ ফুটের কনটেইনারে গড়ে ১১ হাজার ৮৪৯ টাকা মাশুল আদায় করে। নতুন হার কার্যকর হলে কনটেইনারপ্রতি বাড়তি দিতে হবে গড়ে চার হাজার ৩৯৫ টাকা। এতে আমদানি কনটেইনারে বাড়বে পাঁচ হাজার ৭২০ টাকা। রফতানি কনটেইনারে বাড়বে তিন হাজার ৪৫ টাকা। সব মিলিয়ে কনটেইনারপ্রতি গড়ে ১৬ হাজার ২৪৩ টাকা মাশুল দিতে হবে।

বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) চট্টগ্রাম থেকে নির্বাচিত পরিচালক ও ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম চট্টগ্রাম চ্যাপ্টারের সভাপতি এস এম আবু তৈয়ব বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যে ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক বসিয়েছে। এতে রফতানিকারকরা চাপে আছেন। তার ওপর বন্দর কর্তৃপক্ষ তাদের মাশুল ৪১ শতাংশ বাড়ালে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এতে রফতানিকারকদের সক্ষমতা কমে যাবে। রফতানিকারকরা দুদিকে মাশুল গুনেন। রফতানি পণ্য তৈরির কাঁচামাল আমদানির সময় একবার মাশুল দিতে হয়। তৈরি পণ্য রফতানিরসময় আরেকবার মাশুল দিতে হবে।

আপন দেশ/এমএইচ

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়