Apan Desh | আপন দেশ

খেলাপি ঋণ ছাড়াল ৪ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবদেক

প্রকাশিত: ২০:২৭, ১৫ জুন ২০২৫

আপডেট: ২০:৩৬, ১৫ জুন ২০২৫

খেলাপি ঋণ ছাড়াল ৪ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা

ফাইল ছবি

ব্যাংকিং খাত যেন ক্রমেই চাপে পড়ছে। একের পর এক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ, আর্থিক শৃঙ্খলার অভাব এবং দুর্বল তদারকির ফলে বেড়েই চলেছে খেলাপি ঋণের বোঝা। দেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ মার্চ শেষে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ২০ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা। যা মোট বিতরণকৃত ঋণের ২৪ দশমিক ১৩ শতাংশ।

এর আগে ডিসেম্বর ২০২৪ শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা, অর্থাৎ মাত্র তিন মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৭৪ হাজার ৫৬৯ কোটি টাকা। রোববার (১৫ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংক এ তথ্য জানায়

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ পরিসংখ্যান বলছে, গত মার্চ পর্যন্ত দেশে মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৪১ হাজার ৯৯২ কোটি টাকা। ডিসেম্বর পর্যন্ত এ পরিমাণ ছিল ১৭ লাখ ১১ হাজার ৪০২ কোটি টাকা।

আরও পড়ুন>>>একীভূত হচ্ছে পাঁচ ব্যাংক, চাকরি যাবে না কারো: গভর্নর

বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. মনসুর বলেন, পাচারকৃত সম্পদ উদ্ধারে ধাপে ধাপে অগ্রসর হতে হবে। আদালতের চূড়ান্ত রায় ছাড়া কোনো সম্পদ ফেরত আনা সম্ভব নয়। এজন্য সুনির্দিষ্ট তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে আইনি নথিপত্র প্রস্তুত করতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা চাই, আদালতের মাধ্যমে যাচাই হোক, আমাদের দাবি যথাযথ কি না। আদালতের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতেই অর্থ উদ্ধার সম্ভব হবে।

তবে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (এডিআর) পদ্ধতির কথাও তুলে ধরেন গভর্নর। তার ভাষায়, আদালতের বাইরে সমঝোতার মাধ্যমেও অর্থ ফেরত আনার সুযোগ রয়েছে। এ প্রক্রিয়ায় উভয় পক্ষের আইনজীবীরা আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে পৌঁছাতে পারেন।

পাচার হওয়া সম্পদ উদ্ধারে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বলেও জানান গভর্নর। তিনি বলেন, ‘সরকার নির্দেশনা দিলেই আমরা দেশীয় ও আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা পরিচালনার জন্য আইনজীবী নিয়োগ দিতে পারব।

তিনি আরও বলেন, যেসব দলিলপত্র দরকার ছিল, তা আমরা প্রস্তুত করেছি। আন্তর্জাতিক বেশ কিছু ল ফার্ম আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তারা বাংলাদেশে ১০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে আগ্রহী এবং তারা পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে কাজ করতে চায়।

ফার্মগুলোর পারিশ্রমিক কাঠামো নিয়ে প্রশ্নের জবাবে গভর্নর বলেন, পাচার হওয়া অর্থ ফেরত এলে, সেখান থেকে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত পারিশ্রমিক তারা পাবে। বাকি অর্থ সরকারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

ব্রিটিশ সরকারের সহযোগিতার বিষয়েও কথা বলেন গভর্নর। তিনি বলেন, যুক্তরাজ্যের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ ভালো। তারা আমাদের পরামর্শ ও সর্বাত্মক সহযোগিতা দিচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রে এ বিষয়ে অগ্রগতি তুলনামূলক ধীর। দেশটিতে নতুন সরকার আসায় নীতিগত কাজ এখনও চলছে।

আপন দেশ/এমবি

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

Advertisement

জনপ্রিয়