সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা শিক্ষক পদ পুনর্বহালের দাবিতে জবিতে প্রতিবাদ

প্রাথমিক শিক্ষায় সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা শিক্ষক পদ পুনর্বহালের দাবিতে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগ। 

বৃহস্পতিবার (০৬ নভেম্বর) সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য চত্বরে বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে এটি অনুষ্ঠিত হয়। পরে গান গেয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে প্রতিবাদ জানায় বিভাগটি। 

এ সময় সংগীত বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নুসরাত চৌধুরী জাফরিন বলেন, আমরা চাই প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সুর বাজুক। আজকের আন্দোলন কোনো ব্যক্তিগত উদ্দেশ্যে নয়। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি আন্দোলনে আমরা সংগীত বিভাগ আমাদের সুর ও গান গেয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে। আমরা আমাদের কণ্ঠ জারি রেখেছি। সামনেও এটা থাকবে ইনশাআল্লাহ। ফলে আমাদের যেন অবদমিত করে রাখা না হয়।

আরও পড়ুন<<>>তারেক রহমান চান আমি তরুণদের প্রতিনিধিত্ব করি: স্নিগ্ধ

সংগতি জানিয়ে জবি ছাত্র ফন্টের সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম মারুফ বলেন, এসবের মাধ্যমে কালচারাল ফ্যাসিজম কায়েম করা হচ্ছে। সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা শিক্ষক পদ বন্ধ করা হচ্ছে। হাস্যকর ব্যাপার। আমাদের যে এমন একটা বিষয়ে প্রতিবাদ করতে হবে, এটা আমাদের কল্পনাতেও ছিল না। বর্তমান সরকার ও সমাজ তৈরি হচ্ছে বাজার কেন্দ্রীক। এখানে মনন বিকাশে কোনো অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। 

আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে প্রিন্টমেকিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক বজলুর রশীদ খান বলেন, সামগ্রিক শিক্ষা ছাড়া কোনো শিক্ষা পরিপূর্ণ হয় না। সুস্থ মন যেমন দরকার, তেমনি সুস্থ শরীর দরকার। আজ তার্কি, সিরিয়াতে দারুণ মিউজিক হচ্ছে। উস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তেন। তিনি সংগীতের মধ্যে ইশ্বরকে খুঁজতেন।

সংগীত বিভাগের চেয়রাম্যান ড. অণিমা রায় বলেন, প্রাথমিকের শিশুদের সুর থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। আমরা তাদের হয়ে এখানে আজ দাঁড়িয়েছি। তাদের শিক্ষক নিয়োগ না করার অর্থ তাদের অধিকার বঞ্চিত করা। আমরা শিশুদের সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত হতে দিতে চাই না। সংগীতের জন্য বাঙালিকে দাঁড়াতে হবে! আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ছিল সংস্কৃতির জন্য, ধর্মের জন্য নয়। ছোট্ট শিশুদের কাছ থেকে সুর কেড়ে নেওয়ার সুদূরপ্রসারী পায়তারা করা হচ্ছে। যতক্ষণ পর্যন্ত পুনর্বহাল না হবে আমাদের দাবি ও আন্দোলন চলমান থাকবে।

আপন দেশ/এসআর