
আকরাম হোসেন পলাশ।
পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার দেবোত্তর ইউনিয়নে ভিডব্লিউবি (ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট) কার্ড বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, এক নারীকে কুপ্রস্তাব দেয়ার ঘটনায় স্থানীয় জামায়াত নেতা আকরাম হোসেন পলাশের একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এতে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
ভাইরাল হওয়া অডিওতে শোনা যায়, জামায়াত নেতা পলাশ ফোনে ওই নারীকে কুপ্রস্তাব দিয়ে বলেন—‘আপনাকে বলেছি ভাবী, আমার সঙ্গে দেখা করেন। একটু কোলাকুলি করি আর কাজটাও করে দিই... আমার কি ভাবীর সঙ্গে... ইচ্ছা হয় না?’
অভিযুক্ত আকরাম হোসেন পলাশ দেবোত্তর ইউনিয়ন জামায়াতের প্রচার সম্পাদক। তিনি শ্রীকান্তপুর গ্রামের আলাউদ্দিন খানের ছেলে। তিনি পাবনা জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর ও আটঘরিয়ার সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা জহুরুল ইসলাম খানের ভাতিজা।
অভিযোগ রয়েছে, ভিডব্লিউবি কার্ড পেতে প্রতি জনকে দিতে হচ্ছে ২ হাজার টাকা করে ঘুষ। কার্ড পাওয়ার আশায় আসা নারীরা বলছেন, এমন অনৈতিক প্রস্তাব ও দুর্নীতির ঘটনায় তারা হতাশ ও ক্ষুব্ধ।
দেবোত্তর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রতন মোল্লা বলেন, আমাদের ইউনিয়নে মোট ৩৪০টি ভিডব্লিউবি কার্ড রয়েছে। এর মধ্যে জামায়াত নেতাদের হাতে ১৮টি কার্ড দেয়া হয় ইউএনও'র সুপারিশে।
এ ঘটনায় আটঘরিয়া উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রামকৃষ্ণ পাল জানান, কেউ দুর্নীতি করলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিনহাজুল ইসলাম বলেন, গত ৭ জুলাই ওই নারী এসে মৌখিক অভিযোগ করেছেন ও অডিও শুনিয়েছেন। তাকে আইনের আশ্রয় নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
তবে জামায়াত নেতা আকরাম হোসেন পলাশ এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
আপন দেশ/এমবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।