
ছবি: আপন দেশ
ড. মুহাম্মদ ইউনুস আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বা নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করতে যতটা সাচ্ছন্দ্যবোধ করেন ততটা আগ্রহ তিনি দেশীয় মিডিয়া ও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বসতে দেখান না। শুধুমাত্র আলোচনা আর কাগজেই হয়েছে আদতে সংস্কার হয়নি। এ অভিযোগ নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নার।
শনিবার (১০ মে) নিজ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ মতবিনিময় সভায় মান্না এসব কথা বলেন। এর আগে জাতীয় কবিতা পরিষদ নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন তিনি।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন- একটা গ্রহণযোগ্য ভালো জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য যতটুকু সংস্কার প্রয়োজন ততটুকু করে তাড়াতাড়িই নির্বাচনে দেয়া উচিৎ। ভেতরে জাতীয় আন্তর্জাতিক অনেক গেইম আছে বা থাকতে পারে। গণতন্ত্র মানে মেজরিটির মতামত নয় বরং তার চাইতেও গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে সত্যের সঙ্গে থাকা।
সংস্কার নিয়ে তিনি বলেন, যতটা সম্ভব ক্ষমতার ডিসেন্ট্রালাইজেশন করা যেন কেউ একক ক্ষমতার অধিকারী না হতে পারে। দুর্ভাগ্যবশত দেশে কয়েক মাসে শুধুমাত্র আলোচনা আর কাগজে লেখাই হয়েছে আদতে কোন সংস্কারই হয়নি।
জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে মতবিনিময় করছে জাতীয় কবিতা পরিষদ। লক্ষ্য একটি বৈষম্য মুক্ত,গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গঠন। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার (১০ মে) বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মাহমুদুর রহমান মান্নার নেতৃত্বাধীন ‘নাগরিক ঐক্য’–এর সঙ্গে এক বিশেষ মতবিনিময় সভা করেছে। রাজধানীর তোপখানা রোডে নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন<<>>জনগণ সরকারের কর্মপরিকল্পনা জানতে পারলে ধোঁয়াশা তৈরি হবে না: তারেক রহমান
সভায় নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি কবি মোহন রায়হান, সাধারণ সম্পাদক কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনজুর কাদির, সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ার, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ফেরদৌসি আক্তার, জাতীয় কবিতা পরিষদের উপদেষ্টা মন্ডলীর অন্যতম সদস্য কবি মতিন বৈরাগী, পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কবি শ্যামল জাকারিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক কবি নুরুন্নবী সোহেল, সেমিনার সম্পাদক কবি মনজুরুর রহমান, শান্তি ও শৃঙ্খলা সম্পাদক কবি ইউসুফ রেজা, প্রচার সম্পাদক কবি আসাদ কাজল, দফতর সম্পাদক কবি রোকন জহুর, জনসংযোগ সম্পাদক রফিক হাসান, কবি শিমুল পারভীনসহ পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
শুরুতেই জাতীয় কবিতা পরিষদের সংগ্রামী ইতিহাস তুলে ধরেন কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন।
আলোচনায় মোহন রায়হান বলেন- যে যখন ক্ষমতায় আসে সে তখন শিল্প সংস্কৃতিকে গুরুত্ব দেয় না বরং সবকিছুকে দলীয়করণ করতে চায়। ফলে এক দলীয় শাষণ বা স্বৈরতন্ত্র কায়েম হয়। তিনি তার একটা কবিতার উদ্বৃতি দিয়ে বলেন- আমাদের অশিক্ষিত নেতারা সংস্কৃতি বোঝেনা বরং নির্বাচন ভালো বোঝে।' যুগে যুগে লেখক, কবি, সাহিত্যিক, শিল্পী, বুদ্ধিজীবীরা রাজনৈতিক ও রাষ্ট্র পরিচালনার দিশা দিয়েছে। জাতীয় কবিতা পরিষদ দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে সেই প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।
কবি মতিন বৈরাগী বলেন- কবিরা স্বার্বভৌম। রাজনীতির সঙ্গে সংস্কৃতি সরাসরি জড়িত। সত্যিকারের কবিরা কখনো দলীয়করণ হয় না। বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে কোন রাজনৈতিক দলেরই কোন সাহিত্য অঙ্গ থাকে না। কবিরা রাজনীতির অধিন নয় বরং কবিরা রাজনীতিকে জন্ম দেয়, পরিশুদ্ধ করে।
জাতীয় কবিতা পরিষদের সঙ্গে কার্যকরী মিথস্ক্রিয়া তৈরি হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন ডাকসুর সাবেক নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না।
মতবিনিময় সভায় দেশের সার্বিক অবস্থা ও করণীয় নিয়ে বিষদ আলোচনা হয়।
আপন দেশ/এবি
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।