
ছবি: আপন দেশ
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতে ইসলামীর সমাবেশ অনুষ্টিত হয়েছে। ‘দাবি আদায়ে গণজাগরণ’ শীর্ষক জাতীয় সমাবেশকে কেন্দ্র করে শনিবার (১৯ জুলাই) দিনভর রাজধানীজুড়ে নেমে আসে ভোগান্তির ছায়া। সমাবেশে দেশের নানা জেলা-উপজেলা থেকে সংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী ছাড়াও আসে ভাড়াটে লোকজন ও উৎসুক জনতা।
লাখো মানুষের অংশগ্রহণ, রাস্তাজুড়ে ছড়িয়ে পড়া বর্জ্য ও তীব্র যানজট—সব মিলিয়ে জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছায়।
সমাবেশ উপলক্ষ্যে আগের রাত থেকেই দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে দলে দলে লোকজন ঢাকায় আসতে শুরু করেন। অনেকে উদ্যানের গাছতলায়, কেউ সামিয়ানার নিচে রাত কাটান। সকাল থেকে টিএসসি, শাহবাগ ও রমনা এলাকায় ভিড় বাড়তে থাকে। উদ্যানে ফেস্টুন, ব্যানার ও তোরণে সাজানো হয় পুরো পরিবেশ।সমাবেশের আগের রাতে অবস্থান করা নেতাকর্মী ও সমাবেশের সময় প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে জনতার জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নির্মাণ করেছিল অনেক টয়লেট। সমাবেশ শেষ হলে উদ্যানের টয়লেটগুলো রয়েছে এখনো।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে সরবরাহ করা খাবার ও পানির ব্যবস্থার পর, হাজার হাজার মানুষের ব্যবহৃত সামগ্রী—ফেস্টুন, খাবারের প্যাকেট, পানির বোতল, প্লাস্টিক, লিফলেট—রাস্তাজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে টিএসসি, শাহবাগ, রমনা ও বাংলামোটর এলাকার দৃশ্য ছিল রীতিমতো এক বিশাল ময়লার ভাগাড়। এতে পরিবেশ যেমন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তেমনি চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী।
রমনা পার্কে হাঁটতে আসা রাশেদুজ্জামান বলেন, বিরিয়ানির প্যাকেট, পলিথিন, পানির বোতলে পুরো এলাকা সয়লাব। পরিবেশের এমন বিপর্যয় দেখিনি।
এদিকে দিনের শুরু থেকে নগরজুড়ে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট। শাহবাগ, মৎস্য ভবন, পলাশী, ফার্মগেট, বাংলামোটরসহ কেন্দ্রীয় এলাকাগুলোতে যানবাহন চলাচল এক প্রকার স্থবির হয়ে পড়ে। বিপরীতে ছোট রাস্তাগুলোতে দেখা যায় যানশূন্যতা, লোকজন হেঁটে গন্তব্যে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
সমাবেশ শেষে সন্ধ্যার পর জনতা ছত্রভঙ্গ হলেও রাজধানীর স্বাভাবিক ছন্দ ফিরতে অনেক রাত লেগে যায়। প্রশাসন বা সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে তখনো দেখা যায়নি কোনো দ্রুত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার উদ্যোগ।
আপন দেশ /এবি
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।