Apan Desh | আপন দেশ

‘নির্বাচন নিয়ে এখনও আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা দেয়া হয়নি’

নিজস্ব প্রতিবদেক

প্রকাশিত: ১৫:০২, ১৯ জুন ২০২৫

আপডেট: ১৬:৩৪, ১৯ জুন ২০২৫

‘নির্বাচন নিয়ে এখনও আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা দেয়া হয়নি’

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম, ছবি: বাংলাদেশ সেনাবাহিনী

জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এখনো সেনাবাহিনীকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি। তবে যেকোনো সময় নির্দেশনা পেলে দায়িত্ব পালনে সেনাবাহিনী প্রস্তুত রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) দুপুরে ঢাকা সেনানিবাসের অফিসার্স মেসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মিলিটারি অপারেশনস ডিরেক্টরেটের (স্টাফ কর্নেল) কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম এ কথা বলেন।

মব ভায়োলেন্সকে সেনাবাহিনী কীভাবে দেখছে। মব ভায়োলেন্স কি বেড়েছে নাকি কমেছে, নাকি নীরবে চলছে? এমন প্রশ্নের জবাবে কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, মব ভায়োলেন্স কিংবা জন-দুর্ভোগ সৃষ্টিকারী যেকোনও পরিস্থিতির বিরুদ্ধে সেনাবাহিনী কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আমরা মব ভায়োলেন্স অনেকটা কমিয়ে নিয়ে এসেছি। রংপুরের ঘটনাটায় যে মব ভায়োলেন্স ঘটেছিল, সেখানে সেনাবাহিনী সঠিক সময়ে উপস্থিত হওয়ার কারণে সেই পরিস্থিতিটা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছিল।

ঈদুল আজহাকেন্দ্রিক কার্যক্রমে সেনাবাহিনী কতটুকু সন্তুষ্ট, জানতে চাইলে সেনাবাহিনীর এ কর্মকর্তা বলেন, ঈদুল আজহার সময় সেনবাহিনীর সদস্যরা বাস ও রেল স্টেশনে এবং লঞ্চ টার্মিনালে দিনরাত সার্বক্ষণিক টহল দিয়েছেন। এছাড়া স্পর্শকাতর স্থানে চেকপোস্ট স্থাপন করে বাসের গতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। আমাদের পুরুষ অফিসারদের পাশাপাশি নারী অফিসার ও সৈনিকরা রাস্তায় নেমে নির্দ্বিধায় ঈদের সময় অর্পিত দায়িত্ব পালন করেছেন। আমরা ১২৫৫ গাড়ি থেকে ৩৫ লাখেরও বেশি টাকা আদায় করে যাত্রীদের ফেরত দিতে সক্ষম হয়েছি। এসব সম্ভব হয়েছে সেনাবাহিনী সার্বক্ষণিক দেশের মানুষের পাশে  থেকে কাজ করার ইচ্ছা, প্রবণতা, নিয়মানুবর্তিতা, সততা ও কঠোর পরিশ্রমের কারণে।

গত ঈদের তুলনায় এ বছরের ঈদে মৃতের সংখ্যা এবং গুরুতর আহতের সংখ্যা ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ কমিয়ে নিয়ে আসতে পেরেছি, যোগ করেন তিনি।

জাতীয় পতাকা বিক্রির সময় এক ব্যক্তিকে পেটানোর বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে কর্নেল শফিকুল ইসলাম বলেন, আপনারা জানেন— এটি একটি আন্তর্জাতিক মানের ফুটবল ম্যাচ ছিল। সেখানে নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য যতটুকু করার প্রয়োজন ছিল, তা করা হয়েছে। এটি একটি দুঃখজনক ও বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছিল। তবে পরবর্তী সময়ে আমরা ওই পতাকা বিক্রেতাকে ডেকে সমবেদনা প্রকাশ করেছি। এছাড়া তার ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার জন্য তাকে এক লাখ টাকা দেয়া হয়েছে। যাতে করে তিনি তার ব্যবসা সফলভাবে চালিয়ে যেত পারেন।

ভারত ও মিয়ানমার থেকে সীমান্তে পুশইনের বিষয়ে সেনাবাহিনীর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে বিজিবি ও কোস্ট গার্ড সতর্ক এবং সজাগ আছে। ‌সীমান্ত এলাকায় তারা টহল বাড়িয়েছে। সে-সব জায়গায় স্থায়ী ও অস্থায়ী ক্যাম্পের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। এর পাশাপাশি ওইসব এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। এ বিষয়ে সেনাবাহিনীর অন্তর্ভুক্ত হওয়ার মতো কিছু এখনও অনুভূত হয়নি। তাই বিষয়টি বিজিবি ও কোস্ট গার্ড দেখছে।

সম্প্রতি অনেক শীর্ষ সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে সেনাবাহিনী। এ ধরনের শীর্ষ সন্ত্রাসীদের কোনও তালিকা করা হয়েছে কিনা, আর হয়ে থাকলে এই বিষয়ে সেনাবাহিনী কী ব্যবস্থা নেবে জানতে চাইলে কর্নেল শফিকুল ইসলাম বলেন, শীর্ষ সন্ত্রাসী বা যেকোনও সন্ত্রাসী গ্রেফতারের সময় যে অভিযান চালানো হয়, এক্ষেত্রে আমরা গোপনীয়তা রক্ষা করি। শীর্ষ সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

 

আপন দেশ/এমবি
 

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়