
আওয়ামী লীগের বহিস্কৃত নেতা মোবারক হোসেন
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের বহিস্কৃত নেতা মোবারক হোসেনকে খালাস দিয়েছেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে ট্রাইব্যুনালের মৃত্যুদণ্ডের রায় বাতিল করা হয়েছে।
ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল আবেদনের শুনানি শেষে বুধবার (৩০ জুলাই) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতে মোবারকের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার ইমরান আবদুল্লাহ সিদ্দিক। প্রসিকিউশনের পক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম।
এর আগে ২০১৪ সালের ২৪ নভেম্বর মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মোবারক হোসেনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। তাকে ফাঁসির দঁড়িতে ঝুলিয়ে সর্বোচ্চ সাজা কার্যকরের আদেশ দেয়া হয়। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি আনোয়ারুল হকের সমন্বয়ে গঠিত তৎকালীন ট্রাইব্যুনাল-১ মোবারকের বিরুদ্ধে মামলার রায় ঘোষণা করেন।
মোবারক হোসেনের বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগের মধ্যে দুটি প্রমাণিত হয়। এর একটিতে মৃত্যুদণ্ড ও অপরটিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। রায়ে বলা হয়, একাত্তরে মোবারক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রাজাকার বাহিনীর অন্যতম সদস্য ছিলেন।
পরে ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন মোবারক। চলতি বছরের ৮ জুলাই একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস চেয়ে মোবারক হোসেনের আপিল শুনানি শুরু হয় এবং ২২ জুলাই শুনানি শেষে রায়ের দিন নির্ধারণ করেছিলেন আপিল বিভাগ।
উল্লেখ্য, মোবারক ২০১২ সাল পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। পরে তাকে বহিষ্কার করা হয়।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।