Apan Desh | আপন দেশ

আবরার ফাহাদ হত্যা: মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামির আপিল

নিজেস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৮:৫৯, ১৯ মে ২০২৫

আবরার ফাহাদ হত্যা: মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামির আপিল

ফাইল ছবি।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় হাইকোর্টের রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. মোর্শেদ ওরফে মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম সুপ্রিম কোর্টে আপিল আবেদন করেছেন।

সোমবার (১৯ মে) সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় মোর্শেদ ইসলামের পক্ষে অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান দুলু এ আবেদন করেন।

তিনি জানান, ১০ যুক্তিতে এ আপিল করা হয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- তাকে কোনো বিশেষজ্ঞ সাক্ষী শনাক্ত করেননি। ফলে মামলার ঘটনাস্থলে তার উপস্থিতি সুনিশ্চিত নয়, বরং সন্দেহপূর্ণ ও অজানা। হাইকোর্ট বিভাগ আসামি মোর্শেদকে দোষ স্বীকারোক্তি প্রদানকারী আসামি হিসেবে উল্লেখ করেছেন। অথচ মামলায় তিনি কোনো দোষ স্বীকার করেননি।

২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বুয়েটের শেরেবাংলা হল থেকে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আবরারের বাবা চকবাজার থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে বুয়েটের ২৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।

আরওপড়ুন<<>>রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানের অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ

অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ছাত্রশিবির কর্মী সন্দেহে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে আবরারকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছেন। অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে ২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

ওই মামলায় ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর রায় দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১। রায়ে ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। আসামিদের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের (ডেথ রেফারেন্স) জন্য বিচারিক আদালতের রায়সহ নথিপত্র ২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এসে পৌঁছায়, যেটি ডেথ রেফারেন্স হিসেবে নথিভুক্ত হয়।

বিচারিক আদালতের দেয়া রায়ে ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। আসামিরা সবাই বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত নেতাকর্মী। মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন- মেহেদী হাসান রাসেল, মো. অনিক সরকার, মেহেদী হাসান রবিন, ইফতি মোশাররফ সকাল, মো. মনিরুজ্জামান মনির, মো. মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, মো. মাজেদুর রহমান মাজেদ, মো. মুজাহিদুর রহমান, খন্দকার তাবাককারুল ইসলাম তানভীর, হোসাইন মোহাম্মদ তোহা, মো. শামীম বিল্লাহ, এ এস এম নাজমুস সাদাত, মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম, মুনতাসির আল জেমি, মো. শামসুল আরেফিন রাফাত, মো. মিজানুর রহমান, এস এম মাহমুদ সেতু, মোর্শেদ-উজ-জামান মণ্ডল জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মুজতবা রাফিদ।

তখন তিনজন পলাতক ছিলেন। তারা হলেন- মোর্শেদ-উজ-জামান মণ্ডল জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মুজতবা রাফিদ। আর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয় মুহতাসিম ফুয়াদ হোসেন, মো. আকাশ হোসেন, মুয়াজ আবু হুরায়রা, অমিত সাহা ও ইশতিয়াক আহমেদ মুন্নার।

আপন দেশ/এমএইচ

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়