Apan Desh | আপন দেশ

প্রফেসর ইউনূসের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল 

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১০:০৮, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

আপডেট: ১৪:৪১, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

প্রফেসর ইউনূসের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল 

ফাইল ছবি

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। বুধবার (২৩ এপ্রিল) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যর আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।

হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে ড. ইউনূসসহ সাতজনের করা আপিল মঞ্জুর করে সর্বোচ্চ আদালত এ আদেশ দিলেন।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এ মামলা করে দুদক। গ্রামীণ টেলিকমের ৬ কর্মকর্তা হলেন- প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল ইসলাম, পরিচালক আশরাফুল হাসান, নাজনীন সুলতানা, শাহজাহান, নূরজাহান বেগম ও এস এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী।

২০২৩ সালের ৩০ মে দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে এ মামলা করেন। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, আসামিরা ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।  অবৈধভাবে অর্থ স্থানান্তর করা হয়েছে, যা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে অপরাধ।

গত বছরের ১২ জুন ওই মামলায় অধ্যাপক ইউনূসসহ ১৪ জনের নামে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেন।  এ অবস্থায় অভিযোগ গঠনের বৈধতা নিয়ে মামলার কার্যক্রম বাতিল চেয়ে ড. ইউনূসসহ সাতজন হাইকোর্টে আবেদন করেন।

আবেদনের ওপর গত বছরের ১১ জুলাই শুনানি শেষ হয়। পরে গত ২৪ জুলাই বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ আবেদন খারিজ করে আদেশ দেন। এরপর আপিল বিভাগে আবেদন করেন প্রফেসর ইউনূস।

তার আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, অভিযোগ গঠনের বিরুদ্ধে আমরা হাইকোর্টে গেলাম।  হাইকোর্ট বাতিল আবেদন খারিজ করে দিলেন। পরে আপিল বিভাগে গেলাম। আপিল বিভাগ বললেন, এ মামলা চলে না। কারণ মামলাটি প্রত্যাহার (১১ আগস্ট দুদক মামলা প্রত্যাহারে আবেদন দেন) করা হয়েছে।  আমরা বললাম, না, মামলা প্রত্যাহার হয়নি। কারণ এটি অবৈধ। তিনি (অধ্যাপক ইউনূস) ৮ আগস্ট ক্ষমতায় আসেন।  ১১ আগস্ট কোনো নোটিশ ছাড়া, বিনা কারণে মামলা বাদ দিলেন।

তিনি বলেন, এটি বাদ দেয়ার কোনো ক্ষমতা নেই, আমরা তা আদালতকে বোঝাতে সক্ষম হলাম। পরে আবেদনের শুনানিতে বললাম, ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই। শ্রমিকের টাকা শ্রমিকের অ্যাকাউন্টে বিতরণ হয়েছে। এটি তো কোম্পানির টাকা নয়। এখানে তাকে মিথ্যাভাবে হয়রানির জন্য, অপমান করার জন্য মামলাটা করা হয়েছে।

আর প্রফেসর ইউনূসও বলেছেন- প্রধান উপদেষ্টা হওয়ার পরপরই মামলাটা প্রত্যাহার হয়ে গেল! আমার আইনজীবীও জানে না, প্রতিষ্ঠানও জানে না।  আমি আইনিভাবে মোকাবিলা করব। যদি দোষী প্রমাণিত হই, তাহলে সাজা মেনে নেব। আইনের মাধ্যমে সমাধান করব- উল্লেখ করেন আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন।

পরবর্তীতে হাইকোর্টের এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের শীর্ষ কর্মকর্তারা। তবে এরমধ্যেই রাষ্ট্র বা দুদকের পক্ষে পিপি মামলাটি প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করেন। গত ১১ আগস্ট সে আবেদন মঞ্জুর করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক। অন্যদিকে লিভ টু আপিল মঞ্জুর করে গত বছরের ২১ অক্টোবর আপিল বিভাগ আদেশ দেন। সে অনুযায়ী আপিল শুনানি শেষে বুধবার রায়ের দিন ধার্য করেছিলেন আপিল বিভাগ।

আপন দেশ/জেডআই

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়