
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
শুল্কারোপ নিয়ে ট্রাম্পের নতুন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি জানিয়েছেন, যেসব দেশ আগামী পাঁচদিনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তিতে পৌঁছাতে পারবে না, তাদের ওপর ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করা হবে।
শুক্রবার (০৪ জুলাই) সকালে জয়েন্ট বেস অ্যান্ড্রুজে সাংবাদিকদের এ কথা জানান ট্রাম্প।
গত ০৯ এপ্রিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে তিন মাস সময় দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ‘পারস্পরিক’ শুল্কচুক্তি করার জন্য। সে সময়সীমা শেষ হচ্ছে আগামী ০৯ জুলাই। ট্রাম্প বলেছেন, প্রতিদিন ১০ থেকে ১২টি দেশকে চিঠির মাধ্যমে তাদের শুল্কহার জানানো হবে। যা আগামী ০১ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে।
তিনি বলেন, শুল্কহার ৬০ বা ৭০ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে, আবার কিছু ক্ষেত্রে ১০ বা ২০ শতাংশও হতে পারে। শনিবার (০৫ জুলাই) থেকে এ চিঠিগুলো পাঠানো শুরু হবে। চিঠিতে বলা থাকবে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে কোন দেশকে কত শুল্ক দিতে হবে।
আরওপড়ুন<<>>ইরানের বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ যুক্তরাষ্ট্রের!
গত এপ্রিল মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বেশিরভাগ বাণিজ্য অংশীদারদের ওপর সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ‘পারস্পরিক শুল্ক’ চাপিয়ে দেন। এবার সে হার ছাড়িয়ে যাচ্ছে। এ ঘোষণার ফলে শেয়ারবাজারে বড় ধরনের ধস নেমেছে এবং মার্কিন ডলার ও বন্ডের দরপতন হয়েছে। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের স্টক ও বন্ড বাজার বন্ধ থাকলেও বিশ্বজুড়ে বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
কারা পড়তে পারে নতুন শুল্কের আওতায়?
কোন দেশগুলোকে এ চিঠি পাঠানো হবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও জাপানকে বারবার ‘অতিরিক্ত সুবিধাভোগী’ বলে সমালোচনা করেছেন ট্রাম্প। এমনকি জাপানের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন তিনি। যদিও অনেকের ধারণা, এটি হতে পারে একটি কৌশলগত চাপ।
হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট জানিয়েছেন, কিছু দেশের জন্য সময়সীমা নমনীয় হতে পারে, যদি তারা সদিচ্ছার সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যায়। ভারতের ক্ষেত্রে এখনও আলোচনা চলমান থাকায় সময়সীমা বাধ্যতামূলক নয় বলেও জানান তিনি।
তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার বলেছেন, না, খুব একটা ছাড় দেয়া হবে না। প্রায় সব ক্ষেত্রেই ০১ আগস্ট থেকে শুল্ক আদায় শুরু হবে।
কয়টি চুক্তি হয়েছে?
এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ চুক্তি নয়, বরং আলোচনার রূপরেখা চূড়ান্ত হয়েছে মাত্র দুটি দেশের। দেশ দুটি হলো- যুক্তরাজ্য ও চীন। ট্রাম্প দাবি করেছেন, ভিয়েতনামের সঙ্গেও একটি চুক্তি হয়েছে। তবে সে চুক্তির বিস্তারিত বা স্বাক্ষর এখনও প্রকাশ পায়নি।
এপ্রিলে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট দাবি করেছিলেন, আমি ২০০টি চুক্তি করেছি। কিন্তু পরে তিনি স্বীকার করেন, শত শত চুক্তি একসঙ্গে সম্ভব নয়। বরং অনেক দেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্র নিজেই শুল্কহার নির্ধারণ করে দেবে।
এ সিদ্ধান্তকে ‘সহজ সমাধান’ হিসেবে দেখছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কারণ তার ভাষায়, ১৭০টিরও বেশি দেশ আছে, আর কতগুলো চুক্তি করা সম্ভব?
আপন দেশ/এমএইচ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।