Apan Desh | আপন দেশ

বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস আজ 

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১১:১৭, ১০ অক্টোবর ২০২৫

আপডেট: ১১:১৯, ১০ অক্টোবর ২০২৫

বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস আজ 

ছবি : আপন দেশ

আজ ১০ অক্টোবর (শুক্রবার) বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও নানা আয়োজনে দিবসটি পালন করা হচ্ছে। ১৯৯২ সাল থেকে প্রতি বছর এদিন বিশ্বব্যাপী মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে এ দিবসটি উদযাপিত হয়ে আসছে।

এ বছর দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারিত হয়েছে—‘বিপর্যয় কিংবা জরুরি অবস্থায় মানসিক স্বাস্থ্যসেবা যেন পাওয়া যায়’। দিবসটি উপলক্ষ্যে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংগঠন ও সংস্থা নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ক্রোড়পত্র প্রকাশ, শোভাযাত্রা, গোলটেবিল বৈঠক, মিট দ্য প্রেস, আলোচনাসভা, বৈজ্ঞানিক সেমিনার ও বিনা মূল্যে মানসিক চিকিত্সাসেবা প্রদান। 

বিশ্বব্যাপী মানসিক রোগ সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা, কুসংস্কার দূর করা ও জনসচেতনতা সৃষ্টিতে ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন ফর মেন্টাল হেলথ ১৯৯২ সালের ১০ অক্টোবর বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস পালন কর্মসূচির সূচনা করে। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সাইকিয়াট্রিস্টস (বিএপি) দিবসটি উপলক্ষ্যে শোভাযাত্রা, আলোচনাসভা, লিফলেট বিতরণ, পোস্টার ও ব্যানার প্রদর্শন, বিনা মূল্যে মানসিক চিকিত্সাসেবা প্রদান কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।    

বাংলাদেশে ৩ কোটিরও বেশি মানুষ কোনো না কোনো মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। আর এদের মধ্যে ৯২ শতাংশ মানুষই চিকিত্সাসেবার বাইরে রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ১৮ দশমিক ৪ ভাগ প্রাপ্তবয়স্ক ও ১৩ ভাগ শিশু-কিশোর মানসিক রোগে আক্রান্ত, যা মোট সংখ্যার হিসেবে প্রায় ৩ কোটি।

এ বিশালসংখ্যক মানুষের জন্য উন্নত ও সহজলভ্য মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। যারা মানসিক রোগে আক্রান্ত তারাও অজ্ঞতা, ভ্রান্তধারণা, ভীতি, লোক লজ্জা ও বিভিন্ন কুসংস্কারের কারণে মানসিক রোগের বৈজ্ঞানিক চিকিত্সার পরিবর্তে অপ্রচলিত অবৈজ্ঞানিক চিকিত্সা গ্রহণ করছে। ফলে মানসিক রোগ নিরাময়ের পরিবর্তে আরো জটিল আকার ধারণ করছে। অথচ আধুনিক চিকিত্সার মাধ্যমে মানসিক রোগ সম্পূর্ণ নিরাময় সম্ভব।
 
২০১৮-১৯ সালের জরিপ অনুযায়ী,  বাংলাদেশে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক কোনো না কোনোভাবে মানসিক রোগে ভুগছেন। আক্রান্তদের অধিকাংশই  ডিপ্রেশন ও অ্যাংজাইটিতে ভুগছেন। শিশু-কিশোরদের মধ্যে এ হার ১২ দশমিক ৬ শতাংশ।

আরও পড়ুন<<>>অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত রংপুর পরিদর্শনে জেডআরএফ বিশেষজ্ঞ টিম

দেশে মানসিক রোগে আক্রান্তদের মধ্যে খুব কম সংখ্যাক মানুষ চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করে থাকেন। আক্রান্তদের মধ্যে প্রায় ৯২ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক ও ৯৪ শতাংশ শিশু কখনই মানসিক স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণে উদাসীন।  

বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত পরিশ্রম, কম পারিশ্রমিক, কর্মী ছাঁটাই, কর্মক্ষেত্রে অসন্তুষ্টি, সহকর্মীদের অসহযোগিতা, দারিদ্র্য ও সামাজিক অবস্থান হারানোর ভয়ে মানসিক রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। কর্মক্ষেত্রে প্রতি পাঁচজনে একজন মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। আর তাদের মধ্যে গুরুতর মানসিক অসুস্থতার জন্য ৮০ শতাংশ কাজ হারান।’’

মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য মেন্টাল হেলথ ফাউন্ডেশনের পরামর্শ

প্রকৃতির আরও কাছে যান: আমরা সকলেই উদ্বেগ এবং ভয়, অনিশ্চয়তা, ক্ষতির সাথে বাস করি যা আমাদের দুঃখ দেয় এবং এমন চাপ যা আমাদের চাপে ফেলে। কিন্তু প্রকৃতি কাছে গেলে আমরা সুখী হয়ে উঠি। কারণ প্রকৃতি আমাদের শান্ত প্রভাব ফেলতে পারে।

পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমান: যাদের ঘুম ভালো হয় না তারা জানেন  এটি শরীর, মন এবং জীবনের সাথে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। সুতরাং পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমান। এজন্য ঘুমাতে যাওয়ার আগে একটি আরামদায়ক ঘুমের রুটিন তৈরি করুন।

সক্রিয় থাকুন: আমাদের শরীর এবং মন একে অপরের সাথে সংযুক্ত। তাই শারীরিকভাবে নিজেদের যত্ন নেওয়া আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যা প্রতিরোধ করতেও সাহায্য করে।

আপন দেশ/জেডআই

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়