ছবি: আপন দেশ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তঃবিভাগ ও আন্তঃহল ব্যাডমিন্টন, টেবিল টেনিস ও ভলিবল (ছাত্র-ছাত্রী) প্রতিযোগিতা ২০২৫-২০২৬ এর উদ্বোধন করেছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুব-উল-আলম। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রীড়া সামগ্রী ক্রয় ও ক্রীড়া উন্নয়নের জন্য ৩ লক্ষ টাকা অনুদানের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি৷
শনিবার (১৫ নভেম্বর) সকাল ১১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভলিবল মাঠে বিশ্ববিদ্যালয় শারীরিক শিক্ষা বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন তিনি।
পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, গীতা ও ত্রিপিটক পাঠ, জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহর সভাপতিত্বে এবং জার্নালিজম বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. রশিদুজ্জামান ও শারীরিক শিক্ষা বিভাগের উপ-পরিচালক মাবিলা রহমানের যৌথ সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী এবং ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টা, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় সভাপতি সহ কয়েকশত শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন<<>>‘বিএনপি আল্লাহর প্রতি আস্থা-বিশ্বাস পুনঃপ্রতিষ্ঠা করবে’
বিশেষ অতিথি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী বলেন, আজ আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের একটি দিন। শরীর, মন ও মেধা বিকাশের জন্য খেলাধুলা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ও কার্যকরী একটি পদক্ষেপ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুব ও ক্রীড়া সচিব মাহবুব উল আলম বলেন, আমি এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম। আজ এ বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় বার আসতে পেরেছি। এ বিশ্ববিদ্যালয় আমাকে দিয়েছে সম্মান এবং রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ পদে অসীন হওয়ার সুযোগ। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ জন শিক্ষার্থী এখন সরকারের সচিব পদে কর্মরত। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান, মর্যাদা এখনও অক্ষুণ্ণ রয়েছে। জাতি একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর কাছ থেকে অনেক কিছু প্রত্যাশা করে। আমরা যেভাবে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চ শিক্ষার সুযোগ পাই, অনেক দেশেই তা পায় না। সেসব দেশে উচ্চশিক্ষা অনেক ব্যয়বহুল কিন্তু বাংলাদেশ সরকার উচ্চ শিক্ষাকে আমাদের জন্য অনেক সহজ করে দিয়েছে।
শিক্ষার্থীদের নিজেদের যোগ্য করে তোলার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, পড়াশোনার চার বছর আমাদের জন্য ক্রান্তিকাল। আমরা যদি পরিশ্রমের সাথে এ ক্রান্তিকাল অতিক্রম করতে পারি তাহলে আমাদের জন্য স্বর্ণযুগ অপেক্ষা করছে। তোমরা প্রতিটি সময়কে কাজে লাগাবে এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রতিযোগিতামূলক যুগের সাথে তাল মিলিয়ে নিজেদের যোগ্য করে তুলবে। এ প্রতিযোগিতা শুধু নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্য নয় বরং পাবলিক, প্রাইভেট এবং বাইরের দেশ থেকে যারা বাংলাদেশের পড়াশোনা করতে এসেছে, তাদের সাথেও প্রতিযোগিতা করতে হবে৷ সেজন্য কেমন প্রস্তুতি দরকার সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। শিক্ষকদের দায়িত্ব হবে তোমাদের মেধাকে প্রস্ফুটিত করে তার সর্বোচ্চ ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত করে তোলা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, যিনি বাংলাদেশের ক্রীড়া সচিব তার হাত দিয়েই আজকে তারই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয়েছে। এর চেয়ে গর্বের বিষয় আর হতে পারে না। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার লগ্ন থেকে এ পর্যন্ত শিক্ষা এবং ক্রীড়া ক্ষেত্রে অনন্য উজ্জ্বলতা ও কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছে। আমরা যখন ক্রীড়া মন্ত্রণালয় পরিদর্শন করি তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রীড়াবিদদের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সম্পৃক্ততা তুলে ধরেছি। প্রত্যন্ত অঞ্চলে এই বিশ্ববিদ্যালয় হওয়া স্বত্তেও ক্রীড়া ক্ষেত্রে সারাদেশে বিশেষ স্থান দখল করেছে।
আপন দেশ/এসআর
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।





































