Apan Desh | আপন দেশ

সংরক্ষণের অভাবে মর্যাদা হারাচ্ছে রাবির ভাষ্কর্য

মো. রাফাসান আলম, রাবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১২:০২, ৫ অক্টোবর ২০২৫

আপডেট: ১২:১৬, ৫ অক্টোবর ২০২৫

সংরক্ষণের অভাবে মর্যাদা হারাচ্ছে রাবির ভাষ্কর্য

ছবি : আপন দেশ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভাস্কর্যগুলো শুধু স্থাপত্য নয়, জাতির ইতিহাস ও স্বাধীনতার চেতনার মর্যাদার প্রতীক। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসজুড়ে ছড়িয়ে আছে ইতিহাস, সংস্কৃতি ও মুক্তিযুদ্ধের গৌরবগাথা তুলে ধরা অসংখ্য ভাস্কর্য। তবে যথাযথ সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এসব ভাস্কর্যের অনেকগুলো এখন জরাজীর্ণ, মলিন ও উপেক্ষিত অবস্থায় পড়ে আছে। সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ না করলে এ আত্মার প্রতীকগুলো এক সময় হারিয়ে যাবে।

ক্যাম্পাসের প্রবেশপথ থেকে শুরু করে বিভিন্ন অনুষদ, বিভাগ ও মুক্তমঞ্চ ঘিরে স্থাপিত ভাস্কর্যগুলো একসময় শিক্ষার্থীদের গৌরব ও প্রেরণার প্রতীক ছিল। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে যথাযথ পরিচর্যার অভাবে ভাস্কর্যগুলোর রঙ উঠে গেছে, কোথাও কোথাও ভাঙা অংশও অযত্নেই পড়ে রয়েছে। ফলে এসব শিল্পকর্ম ক্রমেই হারাচ্ছে নিজস্ব সৌন্দর্য ও মর্যাদা।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যবাহী এসব ভাস্কর্য শুধু শিল্পকর্ম নয়, এগুলো মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ও জাতির ইতিহাস বহন করছে। অথচ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অবহেলায় এগুলো আজ অবহেলিত। সময়মতো রং করা, মেরামত কিংবা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন না রাখার কারণে অনেক ভাস্কর্যই এখন প্রায় অচেনা হয়ে পড়েছে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় রয়েছে দেশের ঐতিহাসিক কিছু নান্দনিক ভাস্কর্য। এসব নান্দনিক ভাস্কর্য দেশের ভ্রমণ পিপাসু মানুষ ও এখানে ঘুরতে আসা শিক্ষার্থীদের নজর কেড়ে নেয়। রাবির ঐতিহাসিক ভাস্কর্যগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো..

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতির সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত। প্রথমবার ১৯৬৪ সালে ছাত্রদের উদ্যোগে মিনার নির্মিত হয় এবং ১৯৬৭ সালে রাকসুর সহায়তায় এটি পূর্ণাঙ্গ রূপ পায়। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনারা পুরনো মিনারটি ভেঙে ফেলে। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে শেখ মুজিবুর রহমান নতুন মিনারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন, যার নকশা প্রণয়ন করেন স্থপতি খায়রুল এনাম। ১৯৭৫ সালে প্রধানমন্ত্রী মন্সুর আলী আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। পরবর্তী সময়ে কয়েক দফায় সংস্কার ও সম্প্রসারণ করা হয়, এবং ২০১৯ সালে প্রথম নির্মিত মিনারটির স্মৃতিচিহ্ন পুনর্নির্মাণের ঘোষণা আসে।

মিনারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে অবস্থিত। এটি ১২ ফুট উঁচু এবং ৫৬ ফুট দীর্ঘ, চারটি স্তম্ভ দিয়ে নির্মিত। প্রাঙ্গণে উন্মুক্ত মঞ্চ, শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালা, রাকসু ভবন, কেন্দ্রীয় কাফেটারিয়া ও ফুলের বাগানসহ ১৮ হাজার বর্গফুটের সবুজ চত্বর রয়েছে। শহীদ মিনারের পটভূমিতে শিল্পী মুর্তজা বশীরের ৩২১৬ ফুটের একটি বিশাল ম্যুরাল এবং শিল্পী ফনীন্দ্রনাথ রায়ের একটি ম্যুরালও রয়েছে। আজ এ শহীদ মিনার শুধু ভাষা আন্দোলন নয়, মুক্তিযুদ্ধ এবং অন্যান্য গণআন্দোলনের স্মারক হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম প্রতীক।

সাবাশ বাংলাদেশ:
মুক্তিযুদ্ধের স্মারক এ ভাস্কর্যটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের দক্ষিণ চত্বরে অবস্থিত। শিল্পী নিতুন কুণ্ডুর শৈল্পিক হাতের ছোঁয়ায় লাল বেলে মাটি দিয়ে ১৯৯১ সালের ৩রা ফেব্রুয়ারি এটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। সংগ্রামী বাঙালির ইতিহাস ও অসাম্প্রদায়িক বাংলার চূড়ান্ত বিজয়ের প্রতিফলন এ ভাস্কর্য। এ ভাস্কর্যের পাদদেশে একটি মুক্ত মঞ্চ আছে। ৬ ফুট বেদীর ওপর স্থাপিত মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়া দুজন তরুণের ছবি দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধে তরুণদের অবদানের কথা। ভাস্কর্যটির দু’পাশে আয়তাকার দুইটি দেয়ালের একটিতে কয়েকজন বাউল একতারা বাজিয়ে গান করছে। যা বাঙালী জাতির গ্রামীণ সংস্কৃতির পরিচয় বহন করছে। অন্যটিতে মায়ের কোলে শিশু ও দুইজন তরুণী, একজনের হাতে রয়েছে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা। তার দিকে অবাক তাকিয়ে আছে এক কিশোর।

আরও পড়ুন<<>>রাবিতে ভর্তি পরীক্ষার সম্ভাব্য তারিখ ১৬ জানুয়ারি

বিদ্যার্ঘ:
মুক্তিযুদ্ধকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের শিক্ষক শহীদ হবিবুর রহমানের স্মরণ ২০১১ সালে সৌধটি নির্মিত হয়। এটি শহীদ হবিবুর রহমান হল চত্বরে অবস্থিত। ভাস্কর্যটির স্থপতি শিল্পী শাওন সগীর সাগর। প্রায় ৫ ফিট দৈর্ঘের দু’জন মুক্তিযোদ্ধা সগর্বে দাঁড়িয়ে আছেন। একজনের হাতে বন্দুক এবং অন্যজনের হাতে কলম। বন্দুকের চেয়ে কলম বড় সেটা বোঝাতে কলমটি বন্দুকের চেয়ে ওপরে রাখা হয়েছে। ভাস্কর্যটি একটি ষষ্ঠভূজের উপর নির্মিত। কালো রঙয়ের ষষ্ঠভূজটিতে বাংলাদেশের ইতিহাসের ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। গ্রন্থটির ঠিক উপরে রয়েছে একটি সূর্য- যা বাঙালি জাতিকে সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি দিয়ে যাচ্ছে। সূর্যের মাঝখানে লেখা বিদ্যার্ঘ শব্দটি জ্ঞানের আলোকে বোঝানো হয়েছে।

স্ফুলিঙ্গ:
ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও রসায়ন বিভাগের শিক্ষক ড. শামসুজ্জোহা স্মরণে ভাস্কর্যটি নির্মাণ করা হয়। মৃৎশিল্প ও ভাস্কর্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কনক কুমার পাঠক ২০১২ সালে ভাস্কর্যটি নির্মাণ করেন। এ ভাস্কর্যে শহীদ শামসুজ্জোহার ৩ ফুট উচ্চ আবক্ষ প্রতিকৃতি রয়েছে। বেদির ঠিক পেছনে রয়েছে বাঁকা লম্বা একটি দেয়াল। দেয়ালটি লাল আর কালো ইটের দ্বারা তৈরি। আর দেয়ালের মাঝখানে রয়েছে গোল বৃত্ত। একপাশ থেকে দেখলে বোঝা যায় বাঁকা দেয়াল দ্বারা উড়ন্ত বাংলাদেশের জাতীয় পতাকাকে নির্দেশ করা হয়েছে।

সুবর্ণ জয়ন্তী টাওয়ার:
বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চাশ বছর পূর্তিকে স্মৃতির মণিকোঠায় ধরে রাখার জন্য ২০০৩ সালে নির্মাণ করা হয় নান্দনিক এই স্থাপনাটি। প্রধান ফটক পেরিয়ে সড়ক দ্বীপের ডানে, প্রশাসন ভবনের সামনে জোহা চত্বরের দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত। রাজশাহীর সন্তান প্রথিতযশা ভাস্কর মৃণাল হকের সুনিপুণ কারুকার্যে তৈরি হয় এ নান্দনিক স্থাপনাটি। স্টিলের তৈরি ৩৫ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট পৃথিবীর অন্যতম অত্যাধুনিক এ ভাস্কর্যটি নির্মাণ করতে ব্যয় হয় প্রায় ১৫ লাখ টাকা। তবে অবহেলা আর অযত্নে নষ্ট হতে বসেছে অপরূপ সৌন্দর্যের এ স্থাপনাটি।

বধ্যভূমি স্মৃতিস্তম্ভ:
বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা হলের প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে এ স্মৃতিস্তম্ভটি অবস্থিত। ১৯৭২ সালের ২৩ এপ্রিল আবিষ্কৃত হয় এখানকার গণকবরগুলো। প্রায় আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি করা জায়গাটি ছোট হলেও এখানে ৮-১০টি গণকবর আবিষ্কৃত হয়েছে এবং ধারণা করা হয়, এ গণকবরগুলোতে প্রায় ৩-৪ হাজার নিরীহ মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ৬ স্তরবিশিষ্ট এ স্মৃতি স্তম্ভটি সমতল ভূমি হতে ৪২ ফুট উঁচুতে অবস্থিত। স্তম্ভটির চারপাশ ঘিরে আছে গোলাকার একটি কংক্রিটের বেদি এবং বেদির মাঝখানে আছে বড় একটি কূপ। কূপটিকে ‘মৃত্যুকূপ’ এর সঙ্গে তুলনা করা হয়। স্তম্ভের গায়ের কালো কালো ছাপ যা দেশের স্বাধীনতায় অবদান রাখা শহীদদের রক্ত শুকানো দাগের প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। স্তম্ভের ভাঙা ইট দ্বারা মুক্তিযোদ্ধাদের গায়ের ক্ষত বোঝানো হয়েছে।

এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের পশ্চিম দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ওয়েবসাইট’ ভাস্কর্য’ (ru .ac. bd), ড. মুহম্মদ কুদরাত-এ-খুদা এবং স্যার জগদীশচন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের ঠিক মাঝে একটি ‘কিউব’ ভাস্কর্য, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে ‘বইয়ের স্তুপ’ ও শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সিনেট ভবনের সামনে একটি ‘বই’ এর ভাস্কর্য রয়েছে, যা উন্নত বিদ্যাপীঠের প্রতীকী রূপ।

আরও পড়ুন<<>>ছুটির মধ্যে ক্যাম্পাসের পশুপাখিদের পাশে রাবি ছাত্রদল

নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাবরিনা সুলতানা বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্যগুলো আমাদের গৌরবের প্রতীক, আমাদের সংস্কৃতি ও শিল্পচর্চার পরিচয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো— এখন এসব ভাস্কর্যের অবস্থা খুবই খারাপ। কোথাও রঙ উঠে গেছে, কোথাও ভেঙে যাচ্ছে, আবার অনেক জায়গায় ধুলো-ময়লা জমে রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, একটি ভাস্কর্য শুধু শিল্পীর শ্রম নয়, এটি আমাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের প্রতিফলন। অথচ আমরা এগুলোকে যথাযথ যত্নে রাখছি না। তাই প্রশাসনের উচিত দ্রুত সংরক্ষণ ও মেরামতের ব্যবস্থা করা। প্রয়োজনে একটি আলাদা টিম গঠন করে নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ চালু করতে হবে।

একই বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আলী চৌধুরী আবিদ বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্যগুলো শুধু শিল্পকর্ম নয়, এগুলো ইতিহাসের দলিল। প্রতিটি ভাস্কর্যের মধ্যে লুকিয়ে আছে শিল্পীর স্বপ্ন, সংগ্রাম আর সৃজনশীলতার ছাপ। কিন্তু আজ দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়— এ ভাস্কর্যগুলো অবহেলায় ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। ক্যাম্পাসে নতুন নতুন ভবন, রাস্তা বা অবকাঠামো নির্মাণ হচ্ছে, কিন্তু যে শিল্প আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্য বাড়িয়ে তোলে, তার প্রতি নেই কোনো দৃষ্টি। এটা কেবল শিল্পের ক্ষতি নয়, আমাদের সাংস্কৃতিক চেতনারও ক্ষয়।

আমি মনে করি, ভাস্কর্যগুলোর সংরক্ষণ শুধু প্রশাসনের দায়িত্ব নয়— আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব। শিক্ষার্থী, শিক্ষক, এমনকি সাধারণ দর্শনার্থীদেরও উচিত এগুলোর প্রতি যত্নবান হওয়া। প্রশাসনকে আমরা অবশ্যই আহ্বান জানাবো, কিন্তু আমাদের নিজেদেরও সচেতন হতে হবে। কারণ, একটি জাতি তখনই বেঁচে থাকে, যখন তার শিল্প ও সংস্কৃতি টিকে থাকে।

চারুকলা অনুষদের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সনৎ কুমার ঢালি বলেন, আমরা শ্রম দিয়ে ভাস্কর্য তৈরি করি। কিন্তু এগুলো প্রদর্শনের জন্য স্থায়ী জায়গা বা সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেই। অনেক ভাস্কর্য মাটিতে পড়ে নষ্ট হয়ে যায়। প্রশাসন যদি যত্ন নিত, এগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের অমূল্য সম্পদ হয়ে উঠত।

তিনি আরও বলেন, ভাস্কর্য শুধু শিল্পকর্ম নয়, এগুলো ইতিহাস ও সংস্কৃতির অংশ। যত্ন না নিলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আমাদের ঐতিহ্যের এ প্রতীকগুলো চিনতেই পারবে না।

ভূতত্ত ও খনিবিদ্যা বিভাগের তয় বর্ষের শিক্ষার্থী হাসান বলেন, প্রশাসনের অবহেলার কারণে চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের তৈরি বহু ভাস্কর্য ক্যাম্পাসে পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে। এর আগে, ক্ষোভ প্রকাশ করে শিক্ষার্থীরা শতাধিক ভাস্কর্য ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে দিয়ে প্রতিবাদ করছিলো। কিন্তু তবুও পরিস্থিতির তেমন কোনো উন্নতি হয়নি।

সার্বিক বিষয়ে বিশ্বিবদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকীব বলেন, আমি মনে করি এ ভাস্কর্যগুলো একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। কারণ এ এগুলো আমাদের ইতিহাসকে মনে করিয়ে দেয়। একইসঙ্গে সামনে আমাদের কি করনীয় সে বিষয়গুলো স্মরণ করিয়ে দেয়। তাই এগুলো আমার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন। কারণ ইতিহাস ভুলে গেলে মানুষ পথ হারিয়ে ফেলে। আমি মনে করি, শিক্ষার্থীদের চোখের সামনে এ নিদর্শনগুলো থাকা দরকার। যেন তারা অতীত স্মরণে রেখে তাদের ভবিষ্যৎকে গড়তে পারে।

সংস্কারের বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ইতিহাসের এ স্মৃতিস্তম্ভগুলো রক্ষনাবেক্ষনের জন্য আমরা বদ্ধপরিকর। এগুলোর সংস্কার আমরা সবসময়ই করি। তাছাড়া গুরুত্বপূর্ণ যে ভাস্কর্যগুলোর সংস্কার প্রয়োজন সেগুলো সংস্কার করার জন্য আমরা চেষ্টা করছি।

আপন দেশ/জেডআই

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়