Apan Desh | আপন দেশ

যৌন হয়রানির অভিযোগ

রাবি শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি 

রাবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২১:৫৯, ১৭ আগস্ট ২০২৫

আপডেট: ২২:২২, ১৭ আগস্ট ২০২৫

রাবি শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি 

ছবি: আপন দেশ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) নারী শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে শিক্ষকের শাস্তিসহ স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচী পালন করেছে পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

রোববার (১৭ আগস্ট) বিকেল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে এ কর্মসূচি করেন তারা। এর আগে গত ০৪ আগস্ট পরিসংখ্যান বিভাগের অভিযুক্ত শিক্ষকের ব্যক্তিগত কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার পর সুষ্ঠু বিচার চেয়ে বুধবার (১৩ আগস্ট) বিভাগের সভাপতি বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা। এ ঘটনা তদন্তে বিভাগের শিক্ষকদের দিয়ে গঠিত একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি কাজ করছে বলে জানিয়েছেন বিভাগের সভাপতি।

অভিযুক্ত শিক্ষক হলেন ড. প্রভাস কুমার কর্মকার। তিনি পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষক, বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের সভাপতি এবং জনসংযোগ দফতরের সাবেক প্রশাসক । ভুক্তভোগী নারী শিক্ষার্থী একই বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্রী।

আরওপড়ুন<<>>ডাকসুর ভিপি-জিএস প্রার্থী হচ্ছেন শিবিরের সাদিক-ফরহাদ

এদিকে ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় ভুক্তভুগী শিক্ষার্থীর সহপাঠী সালমান সাব্বির বলেন, অধ্যাপক ড. প্রভাস কুমার ভুক্তভোগী ছাত্রীকে তার চেম্বারে ডেকে শারীরিক ও মানসিকভাবে লাঞ্ছিত করে। মূলত ক্লাস এটেনডেন্সের পারসেন্টেজ জানতে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ড. প্রভাস কুমারের চেম্বারে যায়। তখন শিক্ষক তাকে অন্য একদিন ফোন দিয়ে আসতে বলেন। পরবর্তীতে সে শিক্ষকের কক্ষে গেলে শিক্ষক তাকে সাজেশনের কথা বলে পরীক্ষার প্রশ্ন দেন এবং ছবি তুললে নিষেধ করেন। শুধু খাতায় লিখতে বলেন।

এ সময় অভিযুক্ত শিক্ষক তার শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে স্পর্শ করেন এবং কুরুচিপূর্ণ প্রস্তাব দেন। এ ঘটনার পর থেকে ওই শিক্ষার্থী মানসিকভাবে ট্রমার মধ্যে পড়ে যায়। তার সঙ্গে খুবই মর্মান্তিক ও বিকৃত মস্তিষ্কের ঘটনা ঘটেছে। তাকে সাইকোলজিস্ট দেখানো হয়েছে। মেয়ের এ অবস্থা দেখে তার পরিবারও ভেঙে পড়েছে বলে জানান সালমান সাব্বির।

আরেক সহপাঠী তানজিনা খান বলেন, এখানে শুধু একজন ভিক্টিম নয়। ভিক্টিম পূর্বেও ছিল, বর্তমানে আছে, ভবিষ্যতেও থাকতে পারে। আমরা চাই স্থায়ী সমাধান। আমরা এ শিক্ষকের স্থায়ী বহিষ্কার চাই। যেহেতু তদন্ত কমিটির মাধ্যমে প্রমাণ করা হয়েছে, দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে আমরা কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক অধ্যাপক প্রভাস কুমার কর্মকারকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও সাড়া দেননি তিনি।

বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেন, অভিযোগের বিষয়ে বিভাগ থেকে তদন্ত করার জন্য একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করা হয়েছিল। এ রিপোর্ট আজ আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে জমা দিয়েছি। যাচাই বাছাই করে তারা বাকি ব্যবস্থা নিবেন।

আপন দেশ/এমএইচ

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়