Apan Desh | আপন দেশ

গোবিপ্রবি’র বৃত্তি পেলেন ১০৯১ মেধাবী-অসচ্ছল শিক্ষার্থী

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি 

প্রকাশিত: ১৮:৫৩, ২৮ জুলাই ২০২৫

গোবিপ্রবি’র বৃত্তি পেলেন ১০৯১ মেধাবী-অসচ্ছল শিক্ষার্থী

ছবি: আপন দেশ

গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (গোবিপ্রবি) অধ্যয়নরত মেধাবী ও অসচ্ছল ১০৯১ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর প্রথমবারের মতো বৃহৎ পরিসরে এমন উদ্যোগ নিল প্রশাসন।

সোমবার ( ২৮ জুলাই) দুপুর ১২টায় অ্যাকাডেমিক ভবনের মুক্তমঞ্চে ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দফতরের আয়োজনে এসব শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৃত্তির অর্থ বিতরণ করা হয়। প্রত্যেক সেমিস্টারের প্রথম থেকে পঞ্চম মেধাক্রমের ৮০০ জন মেধাবী ও ২৯১ জন অস্বচ্ছল শিক্ষার্থী এ বৃত্তি দেয়া হয়।

গোবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দিন শেখরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তানজিমউদ্দীন খান।

এ সময় তিনি বলেন, মেধার স্বীকৃতির নজির স্থাপন করায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ধন্যবাদ। আসলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যেমন বৈশিষ্ট্য হওয়া উচিত, এখানে তার সম্পূর্ণ বিপরীত অবস্থা। বিগত সময়ে প্রতিষ্ঠানের কথা না ভেবে ব্যক্তিস্বার্থ হাসিল করতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ইউজিসি চেষ্টা করছে,যাতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে ওঠে। যাতে প্রকৃত মেধাবীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক, কর্মকর্তা বা কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ পায়।

তিনি আরও বলেন, আমি প্রত্যাশা করছি, বর্তমান প্রশাসন এ বিশ্ববিদ্যালয়কে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না, ব্যক্তিগত এজেন্ডা সবসময় ক্ষতিকর। পূর্বে সকলে মিলে লেজুরবৃত্তিক চর্চা করায় বিশ্ববিদ্যালয়ে জ্ঞানের চর্চা হয়নি। নতুন জ্ঞান উৎপাদন হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান দায়িত্বশীলরা সেদিকে মনোযোগী হবেন। কেননা আমরা হাজারো লাশের বোঝা বহন করে চলছি।

আরওপড়ুন<<>>কম্বাইন্ড ডিগ্রির দাবিতে বাকৃবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড.হোসেন উদ্দিন শেখর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই আমরা পাহাড়সম সমস্যা থেকে বেরোনোর প্রয়াস চালাচ্ছি। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় উদ্যমী করে তুলতে আজকে ২১ লাখ টাকার বেশি ব্যয়ে মেধাবৃত্তি দেয়া হলো। এর আগে আমরা ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে ভাইস চ্যান্সেলর’স অ্যাওয়ার্ড দিয়েছি। এছাড়াও স্বনির্ভর কর্মসূচিতে ১০০শিক্ষার্থী নিয়োজিত রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এ কর্মসূচি বাঁচিয়ে রাখতে প্রতি মাসে দুই লাখ টাকা ব্যয় করতে হবে। এতোসব করছি,কারণ আমরা চাই এ বিশ্ববিদ্যালয়টি বি-গ্রেড থেকে  গ্রেডভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত হোক। আমরা ইউজিসির সম্মানিত সদস্য ড. তানজিমউদ্দীন স্যারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি,  সম্প্রতি আমাদের দুটি বিভাগ হিট প্রজেক্টপ্রাপ্ত হয়েছে। আপনারা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা, গবেষণা, অডিটোরিয়াম, রাস্তাঘাট তথা অবকাঠামোগত উন্নয়নে সহায়তা করবেন। যাতে শিক্ষার্থীরা এ- গ্রেডের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিতে পারে।

বিশেষ অতিথি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড.মো.সোহেল হাসান বলেন,মেধার পরিচয় দিয়ে যে শিক্ষার্থীরা আজকে বৃত্তি গ্রহণ করছে, তাদের প্রতি হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা রইল। তারা যেন শত প্রতিকূলতা পেরিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে পারে সে প্রত্যাশা করছি। শিক্ষার্থীদের মাথায় রাখতে হবে, আজ থেকে তাদের সফলতার শুরু; তাই থেমে গেলে চলবে না।

এ সময় পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, মেধাবৃত্তির স্বীকৃতি শিক্ষার্থীদের সুস্থ প্রতিযোগিতার পথে অনুপ্রেরণা সৃষ্টি করবে। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ভালো মানুষ হয়ে ক্যারিয়ার গড়তেও সাহায্য করবে।

এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতেই জুলাই শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে অতিথিদের হাতে শুভেচ্ছা স্মারক তুলে দেয়া হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অনুষদের ডিন, বিভাগীয় সভাপতি ও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

আপন দেশ/এমএইচ

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়