Apan Desh | আপন দেশ

প্রক্সিকাণ্ডে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ৯ মাসেও ব্যবস্থা নেয়নি রাবি প্রশাসন

রাবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৭:০৯, ২৭ মে ২০২৫

আপডেট: ১৭:১২, ২৭ মে ২০২৫

প্রক্সিকাণ্ডে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ৯ মাসেও ব্যবস্থা নেয়নি রাবি প্রশাসন

ছবি: আপন দেশ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দিয়ে ভর্তির ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এমনকি নিয়মিত ক্লাস-পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা। তবে অতিদ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে রাবি প্রশাসন।

জানা গেছে, গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে গণমাধ্যমের এক অনুসন্ধানে শিক্ষার্থী প্রতি ৩ থেকে ৮ লাখ টাকার বিনিময়ে জালিয়াতি করে ভর্তি করানোর খবর উঠে আসে। এ অনুসন্ধানে পৃথক বিভাগের ৪ শিক্ষার্থী অভিযুক্ত হন। অ্যাডমিট কার্ডের ছবি এডিটের মাধ্যমে জালিয়াতি করা হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি দফতর। তবে বিষয়টি সামনে আসার ৯ মাস গড়িয়ে গেলেও কেন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি সে বিষয়ে সদুত্তর দিতে পারেনি রাবি প্রশাসন।

অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের তালিকায় থাকা শিক্ষার্থীদের একজন হলেন ফাহিম আল মামুন বর্ণ। তিনি ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ৮২.৬০ স্কোর করে ৪৬তম মেধাস্থান অর্জন করে ভর্তি হন আইন বিভাগে। তার রেজিস্ট্রেশন নাম্বার ২১১০২১৬১২৬ এবং রোল নাম্বার ৫৪১৩৭। বর্তমানে তিনি চতুর্থ বর্ষে অধ্যয়ণরত আছেন। রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন বর্ণ।

আরওপড়ুন<<>>গবেষণা জালিয়াতির অভিযোগে রাবি অধ্যাপকের সংবাদ সম্মেলন

একই পন্থা অবলম্বন করে ‘সি’ ইউনিটে ৭৯ দশমিক ৭০ নম্বর পেয়ে ভর্তি হন মো. শোভন। বর্তমানে তিনি ফিজিক্যাল অ্যাডুকেশন অ্যান্ড স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগে তৃতীয় বর্ষে অধ্যয়ণরত আছেন। তার রেজিস্ট্রেশন নাম্বার ২১১০৯২৯১১২ এবং রোল নাম্বার ৭১১০৬। তিনি রাজশাহীর মতিহার থানার বুধপাড়া গ্রামের মো. গোলাম সারওয়ারের ছেলে। রাবি শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি গোলাম কিবরিয়ার ভাতিজা শোভন।

এছাড়া ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় মেহেদী হাসান সনি প্রক্সির মাধ্যমে ৭২ দশমিক ৬৫ নম্বর পেয়ে ১৬তম মেধাস্থান অর্জন করেন। তার রেজিস্ট্রেশন নাম্বার ২১১০৩৩৩১৭০ এবং পরীক্ষার রোল নাম্বার ৯৬১১৫। বর্তমানে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগে চতুর্থ বর্ষে অধ্যয়ণরত রয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন বলেন, বিষয়টি আমরা অবগত হয়েছি। আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আমরা প্রস্তুত আছি। অতিদ্রুত এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উল্লেখ্য, শিক্ষার্থী প্রতি ৩ থেকে ৮ লাখ টাকার বিনিয়মে প্রক্সি দেয়াতেন প্রক্সির গডফাদার খ্যাত ফোকলোর বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ও রাবি শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মুশফিক তাহমিদ তন্ময়। তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল রাবি প্রশাসন। পরে প্রক্সির সঙ্গে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট প্রমাণের ভিত্তিতে ২০২৩ সালের ৪ অক্টোবর রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল তাকে গ্রেফতার করে।

আপন দেশ/এমএইচ

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়