
ছবি: আপন দেশ
নোয়াখালীর কবিরহাটে প্রেমিকের নানার বাড়ি থেকে কিশোরী প্রেমিকার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। একইসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রেমিক আরাব বিল্লাকে (১৯) আটক করা হয়েছে।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার চাপরাশিরহাট ইউনিয়নের নরসিংহপুর গ্রামের কবির মাস্টার বাড়ি থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত সায়মা ইসলাম (১৭) সদর উপজেলার অশ্বদিয়া ইউনিয়নের মুহুরী বাড়ির প্রবাসী জিয়াউল হকের মেয়ে ও নোয়াখালী সরকারি কলেজের অনার্সের শিক্ষার্থী ছিলেন। অপরদিকে, প্রেমিক আরাব কবিরহাট উপজেলার বাটইয়া ইউনিয়নের মাদলা গ্রামের মো.সাহাব উদ্দিনের ছেলে।
আরও পড়ুন>>>হেমন্তে কালীগঞ্জের প্রাণ প্রকৃতিতে নান্দনিক সাড়া
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কিছুদিন আগে সায়মার পারিবার তাকে পরিবারিকভাবে বিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। তখন পরিবারের সদস্যরা আরাবের সঙ্গে তার প্রেমের কথা জানতে পারে। এ নিয়ে গত কয়েক দিন আগে সায়মার মা পারভীন আক্তার মেয়েকে গালমন্দ ও মারধর করে। একপর্যায়ে গত তিনদিন ধরে নিখোঁজ ছিল সে। শনিবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ওই কিশোরী প্রেমিকার নানার বাড়িতে পরিবারের সদস্যদের অগোচরে বসতঘরে দরজা বন্ধ করে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না প্যাঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেয়।
কবিরহাট থানার ওসি মো.শাহীন মিয়া বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রেমিককে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রেমিক জানায়, ওই মেয়ের সঙ্গে আগে তার সম্পর্ক ছিল। গত দুই মাস ধরে কোনো সম্পর্ক নেই। সম্পর্ক প্রত্যাখ্যান করায় ক্ষোভে সে আত্মহত্যা করতে পারে।
ওসি আরও বলেন, এটি আত্মহত্যা। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। রোববার সকালে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হবে। নিহতের পরিবারের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আপন দেশ/এমবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।