
ছবি: আপন দেশ
কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলায় দুটি সেতু খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। সেতুর আরসিসি গার্ডার ও পলেস্তারা খসে পড়েছে। একটি সেতুর অর্ধেক অংশ দেবেও গেছে। এর ফলে সেতু দুটির ওপর দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তবে এখনো হালকা যানবাহন ও হাজার হাজার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে।
ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দুটি শিলখুড়ি ইউনিয়নের ধলডাঙ্গা বাজারের কাছে অবস্থিত। স্থানীয়রা বলছেন, সেতু দুটি দিয়ে হালকা যানবাহন গেলে তা কাঁপতে থাকে। যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
সেতু দুটি উপজেলার শিলখুড়ি ইউনিয়নের ধলডাঙ্গা বাজারগামী সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত। উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশল সূত্রে জানা গেছে, শিলখুড়ি ইউনিয়নের ১৫ মিটার ও ৩০ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতু দুটি কয়েক বছর আগে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে, বরাদ্দ না থাকার কারণে ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দুটি সংস্কার করা যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন>>>মঞ্চের সামনে বসা নিয়ে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষ
স্থানীয় বাসিন্দা রাফিজুল ইসলাম বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দুটি দিয়ে হালকা যান চলাচল করলেই কাঁপতে থাকে। যে কোনো মুহূর্তে ভেঙে পরে জানমালের ক্ষতি ও বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই অতি দ্রুত সেতু দুটি সংস্কার করা দরকার। নইলে এ ইউনিয়নের মানুষের যোগাযোগব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে।
স্থানীয় পল্লি চিকিৎসক আমিনুল ইসলাম বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ এ সেতু দুটি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ সহ স্কুল, কলেজ ও মাদরাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থী চলাচল করছে। এ সেতু দিয়েই অনেক অসুস্থ ও গর্ভবতী নারী চিকিৎসা নিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। সেতু দুটি ঝুঁকি পূর্ণ হওয়ায় এ ইউনিয়নের ব্যবসায়ীদের পণ্য আমদানি রফতানির ব্যয় বেড়ে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দ্রুত সংস্কার করা না হলে ইউনিয়নটি আরও পিছিয়ে পরবে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য শামসুল হক বলেন, ৩০-৩৫ বছর আগে সেতু দুটি নির্মাণ করা হয়েছিল। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে সেতু দুটির পলেস্তারা খসে পরে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে আছে। এর ফলে পুরো ইউনিয়নের মানুষ আতঙ্ক নিয়ে চলাচল করছে। এতে করে ভারী যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে দুধকুমার নদের ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৬টি প্যাকেজের কাজ বন্ধ রয়েছে। তাই কর্তৃপক্ষের নিকট দ্রুত সেতু দুটি সংস্কারের জোর দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে ভুরুঙ্গামারী উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী ইনছাফুল হক সরকার বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ দুটি নির্মাণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া মাত্রই নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে।
আপন দেশ/এমবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।