
ছবি : আপন দেশ
গাজীপুরে সাংবাদিক মো. আসাদুজ্জামান তুহিনকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় আরও তিনজনকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনী। এ ঘটনায় মোট সাতজনকে গ্রেফতার করা হলো। শনিবার (০৯ আগস্ট) সকালে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) মিডিয়া উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার (০৮ আগস্ট) রাতে চারজন গ্রেফতারের তথ্য জানিয়েছিল জিএমপি। শনিবার সকাল পর্যন্ত সে সংখ্যা বেড়ে সাতজন হয়েছে।
জিএমপি উপকমিশনার রবিউল হাসান বলেন, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে অভিযুক্তদের শনাক্ত করা হয়েছে। গাজীপুর সদর উপজেলার ভবানীপুর এলাকা থেকে ফয়সাল ওরফে কেটু মিজান ও তার স্ত্রী গোলাপীকে এবং রাজধানীর উত্তরার তুরাগ এলাকা থেকে আল আমিনকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া গাজীপুর সদর উপজেলার হোতাপাড়া এলাকা থেকে স্বাধীন নামে আরেকজনকে গ্রেফতার করে র্যাব।
জিএমপির মিডিয়া উইং থেকে জানানো হয়, বাসন থানার বহুল আলোচিত সাংবাদিক তুহিন হত্যা মামলার সরাসরি জড়িত অন্যতম আসামি মো. শাহ জালালকে (৩২) ময়মনসিংহের গফরগাঁও থানার চর মসলন্দ মোড়লপাড়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতা শাহ জালাল কুমিল্লা জেলার হোমনা থানার বাসিন্দা। এছাড়া গাজীপুরের চান্দোপাড়া বাসন এলাকা থেকে আসামি ফয়সাল হাসান ও সুমনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
জিএমপি পুলিশের উপকমিশনার রবিউল হাসান বলেন, এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য শনিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিস্তারিত জানানো হবে।
আরও পড়ুন<<>>বাসের ধাক্কায় প্রাণ গেলো দুই ভাইয়ের
রবিউল হাসান আরও বলেন, বৃহস্পতিবার (০৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় চান্দনা চৌরাস্তায় বহুতল বিপণিবিতান শাপলা ম্যানশনের সামনে বাদশা মিয়া নামে এক ব্যক্তি গোলাপী নামে এক নারীকে কিল ঘুষি মারছিল। এ সময় তার সঙ্গে থাকা কয়েকজন যুবক চাপাতি, ছুরি দিয়ে বাদশার ওপর হামলা চালায়। আক্রান্ত বাদশা মিয়া দৌড়ে পালিয়ে যান। এরপর তিনি শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, গোলাপীকে বাদশাহ মিয়ার হামলা ও বাদশা মিয়ার ওপর সন্ত্রাসীদের মামলার ঘটনাগুলো একটু দূরে দাঁড়িয়ে মোবাইলে ভিডিও ধারণ করছিলেন প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকার সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন। হামলাকারীরা তুহিনকে ভিডিও ধারণ না করতে বলে ও যেটা করেছে সেটা ডিলিট করতে বলে। এ সময় আসাদুজ্জামান তুহিন ঘটনাস্থল থেকে চলে যায় ও পাশেই মসজিদ মার্কেটে অবস্থান নেন। হামলাকারীরা তাকে অনুসরণ করে মসজিদ মার্কেটে গেলে তুহিন দৌড়ে পাশের চায়ের দোকানে আশ্রয় নেন। এ সময় তুহিনকে ধাওয়া করে ও কুপিয়ে খুন করে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।
নিহত তুহিনের বড় ভাই ও মামলার বাদী সেলিম মিয়া বলেন, সাংবাদিক তুহিন কোনো অপরাধ করেননি। তিনি সমাজের চিত্র তুলে ধরতে চেয়েছিলেন। খুনিরা তাকে বাঁচতে দিল না। তবে যারা তাকে খুন করেছে তাদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়ার দাবি করেছেন তিনি। সেলিম মিয়া বলেন, ভবিষ্যতে আর যেন কোনো সাংবাদিককে এভাবে নির্মম হত্যার শিকার হতে না হয়।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।