
ছবি : আপন দেশ
তীব্র যানজটে স্থবির হয়ে পড়েছে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) সকাল থেকে শুরু হওয়া যানজট ক্রমেই ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। রাত পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার মহাসড়ক জুড়ে যানজট ছিল। শুক্রবার (১১ জুলাই) সে যানজট বেড়ে এখন ৩৪ কিলোমিটারে দাঁড়িয়েছে। এতে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন যাত্রীরা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ওসি মামুন রহমান বলেন, বিশ্বরোড গোলচত্বর থেকে আশুগঞ্জ গোলচত্বর পর্যন্ত সাড়ে ১০ কিলোমিটার সড়ক যান চলাচলের অনুপযোগী। এতে ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-চট্টগ্রামগামী যানগুলোর চলাচল করে অনেকটা ধীরগতিতে। সড়কের দূরাবস্থার কারণে যানগুলোকে ঘণ্টা পর ঘণ্টা আটকে থাকতে হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সারাদিন-রাত যানজট লেগেই ছিল।
ভুক্তভোগী, পুলিশ ও প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, আশুগঞ্জ নদীবন্দর-সরাইল-ব্রাহ্মণবাড়িয়া-আখাউড়া স্থলবন্দর সড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পের কাজ চলছে। কিন্তু সড়ক যোগাযোগ চালু রাখতে প্রয়োজনীয় সংস্কার করা হয়নি। যে কারণে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে নানা জায়গায় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। টানা বর্ষণের কারণে এসব গর্ত আরও বড় হয়েছে। একই সঙ্গে নিয়ম লঙ্ঘন করে চালকেরা ওভারটেক করতে গিয়ে যানজট পাকিয়ে ফেলছেন। এরই সর্বশেষ নমুনা দেখা যায় শুক্রবার। বৃহস্পতিবার পুরো দিনই এই মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কিশোরগঞ্জের ভৈরব হয়ে নরসিংদীর ইটাখোলা পর্যন্ত ছিল যানজট।
ওসি মামুন রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত এ যানজট ছিল ১৫ কিলোমিটার জুড়ে। তবে শুক্রবার সকালে এ যানজট ভয়াবহতায় রূপ নেয়। ২৫ কিলোমিটার মহাসড়ক জুড়ে যানজট লেগে আছে। তবে ঘণ্টাখানেক অতিবাহিত হওয়ার পর যানজট আরও বাড়বে। সকাল থেকে গাড়ি শুধু ঢাকার উদ্দেশ্যে ছাড়ছি। সিলেট লাইন বন্ধ হয়ে আছে। মহাসড়কের খারাপ অবস্থা ও ড্রাইভারদের অসচেতনতার অভাবে যানজটের কোনো উন্নতি হচ্ছে না। ট্রাফিক পুলিশসহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের দল যানজট নিরসনে চেষ্টা করে যাচ্ছি।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।