
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন উজ্জ্বল।
ঘুমন্ত অবস্থায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্বামীর গোপনাঙ্গ কেটে পালিয়েছেন স্ত্রী কল্পনা বেগম। পরে স্বামী উজ্বলকে রক্তাক্ত ও অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে তার তৃতীয় স্ত্রী ফারজানা হাসপাতালে নেন।
সোমবার (২৩ জুন) দিবাগত রাতে ২টার দিকে উপজেলার গজরা ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর অভিযুক্ত স্ত্রী কল্পনা বেগম ও শ্বশুর বাবর আলী পলাতক রয়েছেন।
আরও পড়ুন>>>নোয়াখালীতে যুবদল সভাপতি আগ্নেয়াস্ত্র-গুলিসহ গ্রেফতার
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উজ্জ্বল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার চওড়াপাড়া গ্রামের শামসুজ্জামানের ছেলে। উজ্জ্বল দ্বিতীয় স্ত্রী কল্পনা বেগমের (২৫) সঙ্গে কিছুদিন ধরে কৃষ্ণপুর গ্রামে তার শ্বশুর বাবর আলীর বাড়িতে বসবাস করছিল। সবশেষ সোমবার রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে উজ্বলের গোপনাঙ্গ কেটে ফেলেন কল্পনা বেগম। পরে উজ্বলকে রক্তাক্ত ও অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে তার তৃতীয় স্ত্রী ফারজানাকে ফোন দেয় অজ্ঞাত এক ব্যক্তি।
ফারজানা ছুটে গিয়ে উজ্জ্বলকে উদ্ধার করে চাঁদপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আশঙ্কাজনক অবস্থার তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) রেফার্ড করেন।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শহীদ উল্লাহ মাস্টার জানান, বিষয়টি সত্যিই ন্যক্কারজনক। আমি চাই অপরাধীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হোক।
মতলব উত্তর থানার ওসি মো. রবিউল হক বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত মর্মান্তিক ও স্পর্শকাতর ঘটনা। উজ্জ্বলকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী কল্পনা কৌশলে বাড়িতে এনে শরীরের সংবেদনশীল অঙ্গ কেটে দেয় বলে শুনেছি। ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
আপন দেশ/এমবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।