
ছবি: আপন দেশ
মাধবখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সচিব হুমায়ুন কবির। ভিজিএফ ও ভিজিডি চাল বিতরণের সময় দুর্নীতির অভিযোগে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। চাল পরিবহনের নামে প্রতিজন সুবিধাভোগীর কাছ থেকে ৫০০ টাকা করে আদায় করা হয়।
সোমবার (২৬ মে) বিকেলে চাল বিতরণের সময় এ ঘটনার সূত্রপাত হয়। পরে রাত ৯টার দিকে সেনা সদস্যদের সহায়তায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তরিকুল ইসলাম সচিবকে উদ্ধার করেন।
ইউএনও ঘটনাস্থলে গিয়ে সচিবের কাছ থেকে নগদ ৬৭ হাজার টাকা উদ্ধার করেন। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন। জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফিন জানান, বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন>>>বিএনপির অফিসে টেবিলে পা তুলে আ.লীগ কর্মীর ধূমপান
জানা গেছে, মাধবখালী ইউনিয়নের ৩২৬ জন ভিজিএফ ও ভিজিডি কার্ডধারীর জন্য চাল বরাদ্দ করা হয়। বিতরণকালে প্রতিজনের কাছ থেকে ‘পরিবহন খরচ’ বাবদ ৫০০ টাকা করে আদায় করা হয়। অনেকেই অভিযোগ করেন, নাম তালিকাভুক্ত করার সময়ও ৩-৫ হাজার টাকা পর্যন্ত দিতে হয়েছে স্থানীয় চেয়ারম্যান-মেম্বারদের।
সচিব হুমায়ুন কবির বলেন, এটি একক সিদ্ধান্ত ছিল না। মিটিংয়ে আলোচনা করে সবার সম্মতিতে টাকা তোলা হয়। তবে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ও ইউনিয়নের প্রশাসক আমিনুল ইসলাম এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য দেননি, ফোন রিসিভ করেননি।
এদিকে সচিবকে অবরুদ্ধ করার সময় উত্তেজিত জনতা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে বিক্ষোভ করেন, কাঠালতলী বাজারে মিছিল করেন। ঘটনার সময় ইউনিয়নের প্রশাসক পালিয়ে যান।
রাত ৯টার দিকে ইউএনও তরিকুল ইসলাম সেনাবাহিনীর দুইটি গাড়ি নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। টাকার উৎসসহ প্রমাণ সংগ্রহ করেন। এসময় গ্রাম পুলিশ ও দফাদারদের কাছ থেকেও তথ্য নেয়া হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ইউএনও বলেন, ৩২৬ জন সুবিধাভোগীর টাকা মঙ্গলবার ফেরত দিতে হবে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আপন দেশ/এমবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।