
ছবি: আপন দেশ
টানা তিন দিন চুয়াডাঙ্গায় তীব্র তাপপ্রবাহে জনজীবন অচল হয়ে পড়েছে। তীব্র গরমে ও তাপদাহে অতিষ্ঠ ও স্থবির জনজীবন। জেলায় মৌসুমের সর্বোচ্চ ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। অতিপ্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না কেউ। এ অবস্থায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন জেলার খেটে খাওয়া মানুষ।
শুক্রবার (০৯ মে) বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। যা চলতি গ্রীষ্ম মৌসুমে সর্বোচ্চ। এর আগে দুপুর ১২টায় তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ২৪ থেকে ৩৩ শতাংশের মধ্যে।
আরওপড়ুন<<>>আইভীকে বহনকারী পুলিশের গাড়িতে হামলা
প্রখর তাপপ্রবাহের কারণে বিপাকে পড়েছেন জেলার সাধারণ ও খেটে খাওয়া মানুষ। তীব্র গরম ও রোদের তাপের কারণে শ্রমিক, দিনমজুর, ভ্যান-রিকশা চালকরা কাজ করতে না পেরে অলস সময়ও পার করছেন। একটু প্রশান্তির খোঁজে গাছের ছায়া ও ঠাণ্ডা পরিবেশে স্বস্তি খুঁজছে স্বল্প আয়ের মানুষ।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তা ঘাটে লোকজনের চলাচল সীমিত হয়ে পড়ছে। আবার অনেকে জরুরি প্রয়োজন ও জীবন-জীবিকার তাগিদে প্রচণ্ড তাপদাহ উপেক্ষা করে কাজে বের হচ্ছেন। এছাড়া জেলার রোদ্রের তীব্রতায় গলে যাচ্ছে সড়কের পিচ।
সরেজমিনে দেখা যায়, দুপুর গড়াতেই গরমের কারণে রাস্তাঘাট ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। ছায়ার খোঁজে পথচারীরা আশ্রয় নিচ্ছেন গাছের নিচে, কেউবা ছাতা মাথায় দিয়ে বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন।
চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান, আগামী কয়েকদিন এ জেলার তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। তবে ১৪ মের পর বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তখন তাপমাত্রা কমতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
আপন দেশ/এমএইচ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।