
সাকিব আল হাসান। ফাইল ছবি
ক্রিকেটার, রাজনীতিক ও ব্যবসায়ী—এ তিন পরিচয়ের মালিক সাকিব আল হাসান। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি দেশের বাইরে। গত বছর আগস্টে দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে দেশে আসতে পারেননি তিনি। এ সময় তার বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা হয়েছে। সম্প্রতি একটি ইংরেজি দৈনিককে দেয়া সাক্ষাৎকারে এসব নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন সাকিব।
সাক্ষাৎকারে সাকিব বলেন, ক্রিকেটের বাইরে তিনি মূলত দুটি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত—একটি কাঁকড়ার খামার, আরেকটি শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ। তবে ব্যবসায় খুব একটা মনোযোগ দিতে পারেননি বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সাকিব বলেন, করোনা মহামারির আগ পর্যন্ত কাঁকড়ার খামার ভালোই চলছিল। নিয়মিত ঋণ পরিশোধ হচ্ছিল। কিন্তু মহামারির পর বড় ধাক্কা খায় ব্যবসাটি। খামারটির ৩৫ শতাংশ আমার মালিকানায়, বাকি অংশ অন্যদের। কিন্তু সমস্যা যেটা, সব দায় এসে পড়ছে আমার ওপর। কারণ প্রতিষ্ঠানে আমার নাম জড়িত—বলেন সাকিব।
তিনি আরও বলেন, বিষয়টি খতিয়ে না দেখে সরাসরি আমার সম্পত্তি ক্রোক করে নেয়া হয়েছে। এটা আমি স্বাভাবিক বলে মনে করি না।
ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটির নামে নেয়া সাড়ে ৪ কোটি টাকার ঋণ বকেয়া পড়ে। এতে চেক প্রতারণা ও অর্থ পরিশোধে ব্যর্থতার অভিযোগে সাকিবের নামে মামলা হয়। গত মার্চে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তার সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দেন।
সাকিব বলেন, আমার মালিকানা ৩৫ শতাংশ। তার মানে আমার দায় ১ কোটি ২০ লাখ টাকার মতো। অথচ পুরো টাকার দায় আমার ওপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে।
সাক্ষাৎকারে সাকিব বলেন, আমি কারসাজির কিছু করিনি। আমার ফোনে কোনো ট্রেডিং অ্যাপও নেই। আমি একজনকে বিনিয়োগের জন্য টাকা দিয়েছিলাম। সে পুরো টাকা লোকসান করেছে। যদি কেউ প্রমাণ দিতে পারেন যে আমি নিজে শেয়ারবাজারে কারসাজি করেছি, তাহলে আমার সবকিছু দিয়ে দেব।
সাকিব বলেন, তিনি পালিয়ে থাকছেন না। বরং সামনে এসে সবকিছু মীমাংসা করতে চান। তদন্তে যেকোনো তথ্য দিতে আমি প্রস্তুত। এমনকি প্রয়োজন হলে দেশে ফিরে তদন্তে অংশ নিতে রাজি আছি—বলেছেন তিনি।
সাকিব মনে করেন, পরিস্থিতি এখন অনেকটাই পরিষ্কার। মানুষ বুঝতে পারছে, হয়তো কিছুটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। শুধু একটি ছবি বা রাজনৈতিক অবস্থানের কারণে এমন শাস্তি প্রাপ্য নয়—বলেছেন তিনি।
আপন দেশ/এমবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।