ছবি : আপন দেশ
রাজধানীসহ সারা দেশে শীতের মাত্রা বেড়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে জনজীবন রীতিমতো বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় তীব্র শীতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।
আবহাওয়ার তথ্য অনুসারে, বর্তমানে দেশের ৭টি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এসব জেলার মধ্যে রয়েছে চুয়াডাঙ্গা, যশোর, গোপালগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ ও নীলফামারী।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে সর্বশেষ আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে যশোরে সর্বনিম্ন ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদফতর।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, হালকা থেকে ঘন কুয়াশার প্রকোপ আরও অন্তত ৫ দিন অব্যাহত থাকবে। এর ফলে নৌ, সড়ক ও বিমান চলাচল সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে। একই সঙ্গে জানুয়ারির শুরু থেকে শীতের তীব্রতা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) পর্যন্ত মধ্যরাত থেকে সকাল সময়জুড়ে সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। কোনো কোনো এলাকায় এই কুয়াশা দুপুর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। পাশাপাশি সাত জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু শৈত্যপ্রবাহ কিছু এলাকায় অব্যাহত থাকার সম্ভাবনাও রয়েছে।
আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, কুয়াশার এই প্রবণতা আরও কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে এবং জানুয়ারির শুরুতে শীতের তীব্রতা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন : সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও ব্যাংক কার্যক্রম চলছে যে কারণে
তিনি আরও জানান, দেশের অভ্যন্তরের জলাধার, বিল ও হাওর থেকে উৎপন্ন কুয়াশা, বিকিরণজনিত কুয়াশা, পাহাড়ি এলাকায় সৃষ্ট কুয়াশা এবং ভারতের উত্তর–পশ্চিম দিক থেকে বায়ুতাড়িত কুয়াশা প্রবেশ করায় সামগ্রিকভাবে কুয়াশার ঘনত্ব বেড়েছে। এই কুয়াশা মধ্যরাত থেকে দুপুর পর্যন্ত বায়ুমণ্ডলে অবস্থান করায় সূর্যের আলো বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, ফলে ঠান্ডার অনুভূতিও আরও তীব্র হয়ে উঠছে।
আপন দেশ/এনএম
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।




































