Apan Desh | আপন দেশ

এডিবির প্রতিবেদন প্রকাশ

২০২৬ সাল শেষে দেশের প্রবৃদ্ধি বেড়ে হবে ৫ শতাংশ

নিজস্ব প্রতিবেদক 

প্রকাশিত: ১৩:৫৮, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

২০২৬ সাল শেষে দেশের প্রবৃদ্ধি বেড়ে হবে ৫ শতাংশ

ফাইল ছবি

এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) জানিয়েছে, ২০২৫ সালের শেষে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৪ শতাংশ হবে। যা আগামী ২০২৬ সাল শেষে ৫ শতাংশে উন্নীত হবে। তারা বলছে, যদিও পোশাক রফতানি স্থিতিশীল রয়েছে, তবুও প্রবৃদ্ধিতে ধীরগতির কারণ মূলত রাজনৈতিক পট পরিবর্তন।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) এডিবি তাদের এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক (এডিও) প্রকাশ করেছে। ওই প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে এডিবি জানায়, প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি ও বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নত করার ওপর এবং নির্ভরযোগ্য জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করার ওপর বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধি নির্ভর করবে।

এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর হো ইউন জিয়ং বলেন, বাংলাদেশের বাণিজ্যের ওপর মার্কিন শুল্কের প্রভাব এখনও দেখা যায়নি এবং ব্যাংকিং খাতে দুর্বলতা রয়ে গেছে। উচ্চতর অর্থনৈতিক কর্মক্ষমতা অর্জনের জন্য এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করা অপরিহার্য। ২০২৬ অর্থবছরের দৃষ্টিভঙ্গির কিছু নেতিবাচক ঝুঁকি রয়ে গেছে। বাণিজ্য অনিশ্চয়তা, ব্যাংকিং খাতের দুর্বলতা ও সম্ভাব্য নীতিগত স্থিতিস্থাপকতা অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। বিচক্ষণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি বজায় রাখা ও কাঠামোগত সংস্কার ত্বরান্বিত করা জরুরি। মূলত টেকসই উন্নয়নে এগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

আরও পড়ুন>>>বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ প্যাকেজ ঘোষণা

এডিবি আরও জানায়, পাইকারি বাজারে সীমিত প্রতিযোগিতা, অপর্যাপ্ত বাজার তথ্য, সরবরাহ শৃঙ্খলের সীমাবদ্ধতা এবং টাকার দুর্বলতার কারণে মুদ্রাস্ফীতি ২০২৪ অর্থবছরের ৯ দশমিক ৭ শতাংশ থেকে ২০২৫ অর্থবছরে ১০ শতাংশে বৃদ্ধি পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। চলতি হিসাবে ২০২৫ অর্থবছরে জিডিপির ০ দশমিক ০৩ শতাংশের সামান্য উদ্বৃত্ত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। যা ২০২৪ অর্থবছরে জিডিপির ১ দশমিক ৫ শতাংশ ঘাটতি থেকে বেশি, যা বাণিজ্য ব্যবধান সংকুচিত এবং শক্তিশালী রেমিট্যান্স প্রবাহ দ্বারা সমর্থিত।

২০২৬ অর্থবছরে ‘ভোগ বৃদ্ধি’ প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে থাকবে, শক্তিশালী রেমিট্যান্স প্রবাহ এবং নির্বাচন-সম্পর্কিত ব্যয়ই প্রধান হবে। তবে, সংকোচনশীল আর্থিক ও রাজস্ব নীতি, বিনিয়োগকারীদের সতর্কতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বিনিয়োগও কমবে। যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রফতানির ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধি ও ইইউতে কঠোর প্রতিযোগিতাসহ বিশ্বব্যাপী শুল্ক বৃদ্ধি রফতানি ও প্রবৃদ্ধির ওপর প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা হচ্ছে। এ বর্ধিত প্রতিযোগিতার প্রতিক্রিয়ায় রপ্তানিকারকরা ইউনিটের দাম কমাতে বাধ্য হতে পারেন।

এডিবি একটি শীর্ষস্থানীয় বহুপাক্ষিক উন্নয়ন ব্যাংক যা এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে টেকসই, অন্তর্ভুক্তিমূলক, টেকসই প্রবৃদ্ধিকে সমর্থন করে। জটিল চ্যালেঞ্জগুলো সমাধানের জন্য তার সদস্য ও অংশীদারদের সঙ্গে একসাথে কাজ করে। এডিবি জীবনকে রূপান্তরিত করতে, মানসম্পন্ন অবকাঠামো তৈরি করতে ও আমাদের গ্রাহককে সুরক্ষিত করতে উদ্ভাবনী আর্থিক সরঞ্জাম ও কৌশলগত অংশীদারিত্ব ব্যবহার করে। ১৯৬৬ সালে এডিবি প্রতিষ্ঠিত। সংস্থার সদস্য ৬৯টি দেশ।

আপন দেশ/এমবি

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়