
ছবি সংগৃহীত
তুরস্কের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলের বালিকেসির প্রদেশে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৬.১। এতে এক ডজনের বেশি ভবন ধসে পড়েছে। অন্তত একজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ২৯ জন। দেশটির দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (আফাদ) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। খবর আনাদুলু এজেন্সি
স্থানীয় সময় রোববার (১০ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টা ৫৩ মিনিটে তুরস্কের বৃহত্তম শহর ইস্তাম্বুলের নিকটবর্তী বালিকেসির প্রদেশে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। একাধিক প্রদেশেও কম্পন অনুভূত হয়েছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে।
আফাদ জানায়, ভূমিকম্পটির কেন্দ্র ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১১ কিলোমিটার (৬.৮ মাইল) গভীরে। জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফর জিওসায়েন্সেস (জিএফজেড) ভূমিকম্পটির মাত্রা ৬.১৯ এবং গভীরতা ১০ কিলোমিটার বলে উল্লেখ করেছে।
ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল বালিকেসির প্রদেশের সিনদিরগিতে বেশ কয়েকটি ভবন ধসে পড়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। স্থানীয় মেয়র সেরকান সাক জানিয়েছেন, শহরের কেন্দ্রে একটি তিনতলা ভবন ধসে পড়েছে, যেখানে ছয়জন বাসিন্দা ছিলেন। তিনতলা ভবনের ধ্বংসস্তূপ থেকে চারজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি দুজনকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন<<>>বাংলাদেশের জন্য বাড়ছে ভারতীয় মেডিকেল ভিসা
দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলি ইয়ারলিকায়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে জানিয়েছেন, আফাদের জরুরি দল ইস্তাম্বুল এবং পার্শ্ববর্তী প্রদেশগুলোতে ক্ষয়ক্ষতি নিরীক্ষণের কাজ শুরু করেছে। তবে প্রাথমিকভাবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত সকল মানুষের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, তিনি এ ঘটনার পরবর্তী পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন।
২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ-পশ্চিম তুরস্কে ৭.৮ মাত্রার প্রচণ্ড শক্তিশালী একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। হাজার হাজার ভবন বিধ্বস্ত হয়। কমপক্ষে ৫৩ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। ওই ভূমিকম্পে প্রতিবেশী সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে মারা যায় আরও ৬ হাজার মানুষ।
সম্প্রতি গত জুলাইয়ের শুরুতে একই অঞ্চলে ৫.৮ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। তাতে একজনের মৃত্যু হয় এবং আরও ৬৯ জন আহত হয়।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।