Apan Desh | আপন দেশ

গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা, আরও ৮২ ফিলিস্তিনি নিহত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক    

প্রকাশিত: ০৮:৪৩, ২ আগস্ট ২০২৫

আপডেট: ১১:৪০, ২ আগস্ট ২০২৫

গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা, আরও ৮২ ফিলিস্তিনি নিহত

সংগৃহীত ছবি

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দিনের পর দিন, মাসের পর মাস মানবতাবিরোধী অপরাধ করে চলেছে ইসরায়েল। একদিকে বোমা মেরে হত্য করছে, অন্যদিকে ত্রাণ আটকে অনাহারে অসহায় গাজাবাসীকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে। আর তাদের মদদ দিচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট। গত ২৪ ঘন্টায় দখলদার বাহিনীর হামলায় আরও অন্তত ৮২ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। 

শনিবার (০২ আগস্ট) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় আল জাজিরা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে শুক্রবার গাজার বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ৮২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ত্রাণ নিতে এসে নিহত হয়েছেন ৫৩ জন ফিলিস্তিনি এবং আহত হয়েছেন আরও ৪০০ জন।

মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বুধবারের পর ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে গাজায় মোট নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬০ হাজার ৩৩২ জনে। এদের পাশাপাশি আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ৪৭ হাজার ৬৪৩ জন ফিলিস্তিনি।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ত্রাণের খাবার নিতে আসা ফিলিস্তিনিদের ওপরও হামলা করছে ইসরায়েলি বাহিনী। শুক্রবার গাজার বিভিন্ন এলাকায় ত্রাণ নিতে এসে নিহত হয়েছেন ৫৩ জন ফিলিস্তিনি এবং আহত হয়েছেন আরও ৪০০ জন।

’২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালায় গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা। এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যার পাশাপাশি ২৫১ জনকে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় তারা।

হামাসের হামলার জবাব দিতে এবং জিম্মিদের মুক্ত করতে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। ১৫ মাসেরও  বেশি সময় ধরে টানা অভিযান চালানোর পর যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যস্থতাকারী অন্যান্য দেশগুলোর চাপে বাধ্য হয়ে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে ইসরায়েল।

কিন্তু বিরতির দু’মাস শেষ হওয়ার আগেই গত ১৮ মার্চ থেকে ফের গাজায় অভিযান শুরু করে আইডিএফ। দ্বিতীয় দফার এ অভিযানে গত চার মাসে গাজায় নিহত হয়েছেন ৯ হাজার ১৬৩ জন ফিলিস্তিনি এবং আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৩৫ হাজার ৬০২ জন।

যে ২৫১ জন জিম্মিকে হামাসের যোদ্ধারা ধরে নিয়ে গিয়েছিল, তাদের মধ্যে অন্তত ৩৫ জন এখনও জীবিত আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সামরিক অভিযানের মাধ্যমে তাদের উদ্ধার করার ঘোষণা দিয়েছে আইডিএফ।

জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এ পর্যন্ত বেশ কয়েকবার গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধের জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে আহবান জানিয়েছে। ইতোমধ্যে জাতিসংঘের আদালত নামে পরিচিত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলাও দায়ের করা হয়েছে।

তবে নেতানিয়াহু  জানিয়েছেন, হামাসকে পুরোপুরি দুর্বল ও অকার্যকর করা এবং জিম্মিদের মুক্ত করা এ অভিযানের লক্ষ্য এবং লক্ষ্য পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে গাজায়।

আপন দেশ/জেডআই

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়