
জনপ্রিয় অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন
রুপালি পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন তার সাহসি মানসিকতার কারণে বরাবরই আলোচনায় থেকেছেন। ব্যক্তিজীবনেও কখনো কারো পরোয়া করেননি তিনি। বরং বাঁধন সবসময় চেয়েছেন সত্যের পক্ষে থাকতে, স্বাধীনচেতা মনোভাবকেই আঁকড়ে ধরে রাখতে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরব ছিলেন বাঁধন। আওয়ামী সরকারের দুঃশাসনের বিরুদ্ধেও বরাবর আওয়াজ তুলেছেন তিনি।
তারপরও অভিনেত্রীকে ঘিরে নতুন বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। কারণ, গত ১৫ আগস্ট মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানিয়ে সামাজিক মাধ্যমে কটাক্ষের মুখে পড়েছেন তিনি। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই বুধবার (২০ আগস্ট) নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক একাউন্টে শেখ হাসিনাকে কটাক্ষ করে এক স্ট্যাটাস দিলেন এ অভিনেত্রী। একটি ছবিও জুড়ে দেনর তাতে।
স্ট্যাটাসে বাঁধন লেখেন, এ ছবিটা? ওইদিন আমি তাকে বলেছিলাম অনেকেই ভাবছেন আমরা কি একসঙ্গে ঠিক করে একই রঙের কাপড় পরেছি?’ সে হেসেছিল। তখন ওর হাসিটা খুব ভালো লেগেছিল সত্যি মনে হয়েছিল। ওই মুহূর্তে ও যেন আমাদেরই একজন ছিল।
তিনি আরও লেখেন, তার গল্প আমাকে অনুপ্রাণিত করেছিল এক রাতে পুরো পরিবার হারানো, শরণার্থী জীবন, এবং সে দেশেই ফিরে আসা যে দেশ একসময় তার সব কিছু কেড়ে নিয়েছিল। এমন সাহস সত্যিই বিরল। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বুঝেছি ক্ষমতা কিভাবে একজন মানুষকে শয়তানে পরিণত করতে পারে।
আরও পড়ুন<<>>মেয়ে আইসিউতে, হাসপাতালে ভর্তি ছেলে-পরীমনি
বাঁধন মন্তব্য করেন, একটা মজার তথ্য দিই— আমি যদি একদিন হেসেছিলাম বলে সেটা এ নয় যে, আমি পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হয়ে যাচ্ছি! প্রিয় আওয়ামী লীগ সদস্যরা, এত ভয় পাচ্ছেন কেন? আমি কথা বলি— যুক্তি দিয়ে বলি! আমি আমার দেশের মানুষের পাশে আছি! এতটা আবিষ্ট কেন আমার প্রতি? আপনারা হয়তো আর কখনো রাজনীতিতে ফিরতে পারবেন না, তবু অন্তত মানবিক আচরণ করার চেষ্টা করতে পারেন।
তিনি আরও জানান, ২০২৪ সালের নির্বাচনের সময় আমাকে কী অফার করা হয়েছিল, তা জানতে চান? ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটের দায়িত্বে থাকা দফতরটিকে জিজ্ঞাসা করুন। চারপাশে যেখানে অমানবিকতা সেখানে মানবিক থাকা কঠিন, কিন্তু চেষ্টাতো করা যায়। একজন প্রকৃত নেতা হন। একজন মানুষ হন।
নারী বিদ্বেষী মনোভাব এবং সামাজিক মাধ্যমে তাকে লক্ষ্য করে হওয়া অবমাননার প্রতিবাদ জানিয়ে বাঁধন বলেন, আপনারা আমাকে যেভাবে সামাজিক মাধ্যমে আক্রমণ করেছেন, সেটাই এ দেশের নারীদের প্রতি আপনাদের মনোভাব। চালিয়ে যান আপনাদের বাজে কুৎসা! জয় পেয়েছেন— অভিনন্দন। কিন্তু আমাকে আক্রমণ ছাড়া আসলে আর কী কাজ আছে আপনাদের? নাকি ঠিক করে নিয়েছেন, কে সবচেয়ে খারাপ, সে হবে আপনাদের সংসদ সদস্য— যদি আবার ক্ষমতায় ফেরেন?
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।