
ছবি: আপন দেশ
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) ছাত্র উপদেষ্টা ও প্রক্টরের চেয়ারে শাড়ি-চুড়ি রাখায় তোপের মুখে পড়েছে সমন্বয়করা। রোববার (২০ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্তরা হলেন, আশিক, সুমন, আরমান, বাংলাদেশ গঠনতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ (বাগছাস) রংপুর মহানগর সদস্য সচিব হাজিমুল হক, রংপুর জেলা কমিটির মুখপাত্র রুম্মানুল ইসলাম রাজ।
তাদের অভিযোগ, ক্যাম্পাসে লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকলেও ছাত্রদল ও শিবির প্রকাশ্যে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
তবে এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শওকাত আলী বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আমার বিকেল ৫টায় বসার কথা ছিল। ছাত্র রাজনীতির ব্যাপারে তাদের সঙ্গে কথা বলার আগেই অভিযুক্তরা শিক্ষকদের অবমাননা করছে। তারা যে অভিযোগ তুলছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি হচ্ছে, কিন্তু সেটি কোথায়। এখন কেউ যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে রাজনীতি করে সেটা কি আমরা দেখব। ৭৫ একরে রাজনীতি নিষিদ্ধ। এখানে কেউ রাজনীতি করতে পারবে না।
আরওপড়ুন<<>>সাজিদের মৃত্যুর ঘটনায় ইবি প্রশাসনের সংবাদ সম্মেলন
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আমি এসেই রাজনীতি বন্ধ করি। আমাকে কেউ বলেনি। ওদের আগেই আমি সিন্ডিকেটে বিষয়টি তুলি। রাজনীতি নিষিদ্ধ ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি করায় এর আগে আমি কমিটি গঠন করি৷ সেখানে কয়েকজনকে শোকজ করা হয়। আমরা কাজ করছি।
এদিকে শিক্ষকদের অবমাননা করায় প্রতিবাদ করেছে বেরোবি শাখা ছাত্রদল। এ সময় শাখা ছাত্রদলের আহবায়ক আল আমিন বলেন, গুটি কয়েক নামধারী সমন্বয়ক সাধারণ শিক্ষার্থী নাম ব্যবহার করে শিক্ষকদের অবমাননা করেছে। শুধু তাই নয়, তারা আমাদের মা-বোনদেরও অবমাননা করেছে। এ ধরনের অবমাননা কোনো সাধারণ শিক্ষার্থী মেনে নিবে না।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনও ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের দোসরা রয়ে গেছে। তা নাহলে ১৬ জুলাই কঠোর নিরাপত্তা থাকা স্বত্বেও কীভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের 'জয় বাংলা' স্লোগান লেখে। এগুলোর পেছনে নামধারী সমন্বয়করা আছে।
আপন দেশ/এমএইচ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।