
ছবি: আপন দেশ
১৮ তম শিক্ষক নিবন্ধনের চূড়ান্ত ফলাফলে “বিচ্যুতি ও বৈষম্য” অভিযোগ তুলে ফল পুনঃনিরীক্ষার দাবি জানিয়েছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটে জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবি তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন প্রার্থী সোনিয়া আক্তার। তিনি বলেন, লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে আমরা ভাইভায় আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে অংশ নেই, যথাযথভাবে উত্তর প্রদান করি। তারপরও আমাদের অকৃতকার্য দেখানো হয়েছে, যা আমাদের প্রত্যাশার সম্পূর্ণ বিপরীত। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিধি অনুযায়ী ভাইভায় পাসের জন্য প্রয়োজনীয় সর্বনিম্ন নম্বর পাওয়ার পরও অনেক মেধাবী প্রার্থীকে অকৃতকার্য দেখানো হয়েছে। ২০ নম্বরের ভাইভায় ১২ নম্বর নির্ধারিত অ্যাকাডেমিক ফলাফলের জন্য, বাকি ৮ নম্বরের মধ্যে মাত্র ৩.২ নম্বর পেলেই উত্তীর্ণ হওয়ার কথা। কিন্তু বহু প্রার্থী সব প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেয়ার পরও অকৃতকার্য হয়েছেন, যা ভাইভা বোর্ডের মনগড়া সিদ্ধান্ত।
আরও পড়ুন>>>১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনে বৈষম্যে হাজারো শিক্ষার্থী, ফলাফল পুনঃমূল্যায়নের দাবি
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, কিছু বোর্ডে ৩০ জনের মধ্যে মাত্র ১ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন, আবার কোথাও ৩০ জনের মধ্যে ২৯ জনই পাস করেছেন। ১৬তম ও ১৭তম নিবন্ধনে যেখানে পাশের হার ছিল যথাক্রমে ৯২.১৫ শতাংশ ও ৯৫.০২ শতাংশ, সেখানে ১৮তমে তা নেমে এসেছে মাত্র ৭৪.৫২ শতাংশে। বিশেষ করে আরবি ও সমাজবিজ্ঞান বিষয়ের ভাইভায় পাশের হার যথাক্রমে ৫৩.৪৭ শতাংশ ও ৫২.১ শতাংশ।
চাকরিপ্রত্যাশীরা আরও জানান, এবারের লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ছিল অন্যান্য বছরের তুলনায় কঠিন ও কোনো বিকল্প অপশন ছিল না। এমন তারতম্য ও বৈষম্যপূর্ণ ফলাফল প্রক্রিয়া নিরপেক্ষতা ও স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে।
আরও পড়ুন>>>১৮তম নিবন্ধনে ফলবঞ্চিতদের দাবি শুনল প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়, সমন্বয়ের আশ্বাস
চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই ফলাফল পুনর্মূল্যায়নের দাবি জানিয়ে আসছেন প্রার্থীরা। এরই ধারাবাহিকতায়, গত সোমবার আন্দোলনরত প্রার্থীদের ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ‘যমুনা’ ভবনে প্রধান উপদেষ্টার সহকারী একান্ত সচিব শাব্বীর আহমদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি বিষয়টি সমন্বয়ের আশ্বাস দিলেও এখনো কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই।
এছাড়া, গত রোববার এনটিআরসিএ’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মুহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবর একটি চিঠি প্রেরণ করেন। একই দিনে বঞ্চিত প্রার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল শিক্ষা সচিব ও এনটিআরসিএ চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠক করে তাদের দাবি ও অভিযোগ উপস্থাপন করেন।
চাকরিপ্রত্যাশীরা দাবি করেন, ১ লাখ ১০ হাজারের অধিক শূন্যপদের বিপরীতে মাত্র ৬০ হাজার প্রার্থীকে পাস দেখানো হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে ফলাফল প্রক্রিয়ায় কোনো অসংগতি হয়েছে কি না, তা নির্ধারণের লক্ষ্যে অবিলম্বে ফলাফল পুনঃনিরীক্ষা ও পুনর্বিবেচনার দাবি জানান তারা।
আপন দেশ/এমবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।