Apan Desh | আপন দেশ

নতুন স্বামী–স্ত্রীর বনিবনা না হওয়ায় ঘটককে গাছে বেঁধে মারধর

বগুড়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৮:৪২, ১৯ জুন ২০২৫

নতুন স্বামী–স্ত্রীর বনিবনা না হওয়ায় ঘটককে গাছে বেঁধে মারধর

ছবি: আপন দেশ

ঘটকালির উপহার হিসেবে লুঙ্গি দেয়ার কথা বলে এক ব্যক্তিকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করা হয়েছে। 

রোববার (১৮ জুন) বগুড়ার শেরপুর উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের সূত্রাপুর গোয়ালপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ওই ব্যক্তি বর্তমানে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

আহত ব্যক্তির নাম মজিবর শেখ (৬৫)। তিনি সুঘাট ইউনিয়নের ওমরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। এ ঘটনায় মজিবরের ছোট ভাই নজরুল শেখ শেরপুর থানায় চারজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা সাজিদ হাসান সিদ্দিকী বলেন, আহত অবস্থায় মজিবর শেখকে গত রোববার রাতে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে মঙ্গলবার তাঁকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তার শরীরে মারধরের একাধিক চিহ্ন রয়েছে।

আরও পড়ুন>>>পুলিশকে মারধর করে পালিয়েছে হত্যা মামলার আসামি

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সুঘাট ইউনিয়নের সূত্রাপুর গোয়ালপাড়া গ্রামের জহুরুল ইসলামের মেয়ে সুমাইয়া খাতুনের (২১) সঙ্গে বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার ঘাসুরিয়া গ্রামের মো. মুন্নার (২৮) বিয়ে হয় ৯ জুন। বিয়ের ঘটক ছিলেন মজিবর শেখ। সেদিনই আনুষ্ঠানিকভাবে বর ও তার পরিবারের সদস্যরা কনে সুমাইয়াকে নিয়ে যান।

বৃহস্পতিবার হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে মজিবর শেখ বলেন, রোববার সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার পথে জহুরুল ইসলাম ও তার পরিবারের লোকজন আমাকে ডেকে বাড়িতে নিয়ে যান। পরে তারা অভিযোগ করেন, বিয়ের পর মেয়ে-জামাইয়ের মধ্যে বনিবনা হচ্ছে না। এরপর তারা একটি গাছের সঙ্গে আমাকে বেঁধে স্যান্ডেলের সঙ্গে গরুর গোবর লাগিয়ে ও লাঠি দিয়ে হাতে, পায়ে ও মাথায় মারধর করেন। সন্ধ্যা ৭টা থেকে অন্তত এক ঘণ্টা ধরে মারধর করা হয়। পরে আমার ভাই নজরুল শেখ এসে আমাকে উদ্ধার করেন।

এ বিষয়ে কনের বাবা জহুরুল ইসলাম বলেন, ৯ জুন তার মেয়েকে শ্বশুরবাড়িতে পাঠিয়েছেন। মেয়েকে তুলে দেয়ার দুই দিন পর থেকেই মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকজন মেয়ে ও তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ শুরু করেন। শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাদের মেনে নিতে পারছেন না। বিয়ের আগে ঘটক মজিবর শেখ জানিয়েছিলেন ছেলের পরিবার খুব ভালো। এ কারণে তার পরিবারের লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে ঘটককে বাড়িতে ডেকে নিয়ে এসে একটু মারধর করেছেন।

মজিবর শেখের ছেলে মো. সোনাউল্লাহ শেখ বলেন, তার বাবা কোনো পেশাদার ঘটক নন; টাকার বিনিময়ে ঘটকালিও করেন না। উপহারের কথা বলে ডেকে নিয়ে গিয়ে যেভাবে নির্যাতন চালানো হয়েছে, তা অমানবিক।

শেরপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তোফাজ্জল হোসেন বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছি। প্রাথমিক তদন্তে মারধরের সত্যতা মিলেছে। তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আপন দেশ/এমবি

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়