
আলী রীয়াজ।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রক্রিয়া পরিবর্তন করতে সংবিধান সংশোধনে সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে। এ তথ্য জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ। তবে নতুন নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে এখনো ঐকমত্যে পৌঁছানো যায়নি বলেও জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা শেষে সমাপনী ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন আলী রীয়াজ।
এ সময় কমিশনের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. আইয়ুব মিয়া ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
তিনি বলেন, সংবিধানের ৪৮ (১) অনুচ্ছেদে সংসদ সদস্যদের ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ব্যবস্থার পরিবর্তন চান সবাই। তবে নতুন প্রক্রিয়ার প্রায় পুরোটাই দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভার সঙ্গে সম্পর্কিত। তাই আগে আইনসভা নিয়ে সিদ্ধান্তে আসতে হবে।
আলী রীয়াজ বলেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ৫০০ ভোটের ইলেকটোরাল কলেজ হবে, নাকি জেলা পরিষদ-সিটি কর্পোরেশন যোগ হবে- এর অনেক কিছুই নির্ভর করছে আইনসভা দ্বিকক্ষবিশিষ্ট হবে কিনা তার ওপর। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রক্রিয়ায় চূড়ান্ত মীমাংসায় আসতে চাইলে আগে আইনসভার বিষয়ে সিদ্ধান্তে আসতে হবে।
আরও পড়ুন>>>‘নির্বাচন নিয়ে এখনও আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা দেয়া হয়নি’
প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ প্রসঙ্গেও কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়নি উল্লেখ করে কমিশনের সহসভাপতি বলেন, প্রধানমন্ত্রী পরপর দুই মেয়াদে হলে আর হওয়া যাবে না কিংবা পরে এক বা দুই মেয়াদ বাদ দিয়ে হওয়া যাবে- এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে কোনো সিদ্ধান্ত পৌঁছানো যায়নি।
রোববার (২২ জুন) সকাল সাড়ে ১০টায় অমীমাংসিত বিষয় নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আবারও আলোচনা শুরু হবে। এরমধ্যে এ কয়দিনের আলোচ্য বিষয় নিয়ে রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা তাদের নীতিনির্ধারক কমিটির সঙ্গে আলোচনার সুযোগ পাবে বলে জানান রীয়াজ।
যেসব বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হবে না, সেসব বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে চাইলে কমিশনের সহ-সভাপতি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হবে না, তা স্বচ্ছতার সঙ্গে উল্লেখ করা হবে। বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে সব বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হবে, এমন প্রত্যাশা করাও ঠিক হবে না। কিন্তু কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে একমত হওয়ার সদিচ্ছা রয়েছে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আজকের আলোচনায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টিসহ ৩০টি রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করে।
আপন দেশ/এমবি
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।