
ছবি : আপন দেশ
আবাসন সমস্যা সমাধান ও দ্বিতীয় ক্যাম্পাস প্রকল্প বাস্তবায়নসহ মোট চার দফা দাবিতে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা। কর্মর্সচির দ্বিতীয় দিনে সরকারের তরফে আশানুরূপ সাড়া না আসায় গণঅনশন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
শুক্রবার (১৬ মে) জুম্মার নামাজের পর কাকরাইল মসজিদ মোড়ে অনশনস্থলে গণঅনশনে বসবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। তাদের সঙ্গে সাবেক শিক্ষার্থীরাও যোগ দেবেন বলেও ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
চার দফা দাবিতে গত কয়েকদিন ধরেই আন্দোলন করে আসছেন জবি শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় শাটডাউনের ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। দিনের বেলা ‘কমপ্লিট শাটডাউনের’ পর বৃহস্পতিবার (১৫ মে) মধ্যরাতে নতুন কর্মসূচির ডাক দেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. রইছ উদ্দীন।
কাকরাইল মসজিদ মোড়ের অবস্থানস্থলে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমরা জবি পরিবার ঐকম্যতে পৌঁছেছি; হয় দাবি আদায় হবে, নতুবা আমাদের মৃত্যু হবে। দ্বিতীয় দিন পরেও আমাদের দাবি মেনে নেয়া হয়নি। সুস্পষ্টভাবে দাবি মেনে না নেয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি চলবে।
অধ্যাপক মো. রইছ উদ্দীন বলেন, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আমরা শিক্ষকরাও আজ এখানেই রাত্রি যাপন করব। আগামীকাল (শুক্রবার) আমাদের সঙ্গে সাবেক শিক্ষার্থীরা যোগ দেবেন। আর জুম্মার নামাজের পরপরই আমরা গণ অনশন কর্মসূচি পালন করব।
এর আগে বিকালে দাবি আদায়ে ক্যাম্পাসে ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করে আন্দোলনে নামা শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনরত শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনার পর এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিরি সাধারণ সম্পাদক রইস উদ্দিন।
আগের দিন পুরান ঢাকার ক্যাম্পাস থেকে শুরু হওয়া শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পথযাত্রা কয়েক দফা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এসে কাকরাইল মসজিদ মোড়ে আবার বাধার মুখে পড়ে। সেখানে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার শেল মেরে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
পরে আন্দোলনকারীরা বিকাল থেকে সেখানেই অবস্থান নিয়ে তাদের দাবি আদায়ে অনড় থাকেন। তিন দফা দাবিতে শুরু হওয়া এ আন্দোলন পরে চার দফায় রূপ নেয়। প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে পদযাত্রা করে যাওয়ার সময় আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশের হামলার ঘটনার তদন্ত ও দোষীদের শাস্তি নিশ্চিতে দাবি তুলেছেন তারা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শুক্রবার সকালেও কাকরাইল মসজিদের সামনে রাস্তায় কয়েকজনকে শুয়ে থাকতে দেখা গেছে। তারা সেখানেই রাতযাপন করেন। শিক্ষার্থীরা জানান, তারা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সেখান থেকে যাবেন না।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।