ছবি : আপন দেশ
বাণিজ্যিক আদালত প্রতিষ্ঠা বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। শনিবার (০৬ ডিসেম্বর) সকালে রেডিসন ব্লু চট্টগ্রাম বে হোটেলে ‘অপারেশনালাইজিং কমার্শিয়াল কোর্ট’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, বিচার বিভাগের প্রশাসনিক স্বায়ত্তশাসন, টেকসই সংস্কার ও বিশেষায়িত বাণিজ্যিক আদালত প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশের বিচার ব্যবস্থা এক নতুন প্রাতিষ্ঠানিক যুগে প্রবেশ করেছে। গত দেড় বছরের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় যে মৌলিক রূপান্তর সাধিত হয়েছে, তা বিচারিক ইতিহাসে এক মাইলফলক।
ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ জানান, দ্রুত ও আধুনিক বাণিজ্যিক বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের দাবি অনুযায়ী বাণিজ্যিক আদালত প্রতিষ্ঠা শিগগিরই বাস্তবায়িত হবে। বৃহস্পতিবার (০৪ ডিসেম্বর) মন্ত্রিসভায় বাণিজ্যিক আদালত আইনের খসড়া নীতিগত অনুমোদন পেয়েছে। এ আইনে বাণিজ্যিক বিরোধের সুস্পষ্ট সংজ্ঞা, পৃথক আপিল বেঞ্চ, বাধ্যতামূলক মধ্যস্থতা, সীমিত মুলতবি এবং বিচারক-আইনজীবীদের বিশেষায়িত প্রশিক্ষণের মতো আধুনিক বিধান রয়েছে।
আরও পড়ুন<<>>‘আগামী নির্বাচন আমাদের জন্য বড় পরীক্ষা’
তিনি বলেন, আইন শুধু পাস করলেই হবে না, তার সফল বাস্তবায়নও জরুরি। এজন্য অবকাঠামো উন্নয়ন, মানবসম্পদ বিকাশ, ডিজিটাল সক্ষমতা বৃদ্ধি ও সব পক্ষের সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রশংসা করে বলেন, সুপ্রিম কোর্টের প্রস্তাব দ্রুত অনুমোদন শক্তিশালী বিচারব্যবস্থা নির্মাণে জাতীয় ঐকমত্যের প্রতিফলন।
সুপ্রিম কোর্ট ও ইউএনডিপির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এ সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন ইউএনডিপির রেসিডেন্ট রিপ্রেজেন্টেটিভ স্টেফান লিলার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুইডেন, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের কূটনীতিকরা। দেশের বিভিন্ন স্তরের বিচারবিভাগীয় কর্মকর্তারা এতে অংশ নেন।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।




































